জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে শোক জানিয়েছে সুইজারল্যান্ড। আজ শুক্রবার ঢাকায় সুইস দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। দূতাবাসের ফেসবুক পেজেও বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বুয়েটের তরুণ ও উজ্জ্বল শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের করুণ মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। সুইজারল্যান্ড প্রতিটি ব্যক্তির জীবন ও মত প্রকাশের অধিকারের সাথে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। যারা মানবাধিকারের এ মৌলিক নীতিকে লঙ্ঘন করে তাদের বিচার ও মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক কাঠামোর আওতায় জবাবদিহি করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাত ৩টার দিকে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, ওই রাতেই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে গত সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে আবরার হত্যার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে জাতিসংঘ, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র বিবৃতি দেয়। তবে আবরার হত্যার ঘটনায় কূটনীতিকদের মন্তব্য অনভিপ্রেত, বলেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, বুয়েটে ছাত্র নিহত হবার ঘটনা আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের মন্তব্য অনভিপ্রেত। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী গুলিবিদ্ধ হয়ে হতাহত হয়, গত মাসেও এ ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রে যখন স্কুলে গুলিবর্ষণে ছাত্র-ছাত্রীরা হতাহত হয়, পাকিস্তানে শিয়া মসজিদ পুড়িয়ে দেয়া হয়, তখন কি তারা সবসময় উদ্বেগ প্রকাশ করেন? বুয়েটে ছাত্র নিহত হবার ঘটনা আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের মন্তব্য অনভিপ্রেত।’