নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠায় যারা বিরোধ সৃষ্টি করতে চায় তাদেরকে শাস্তি হিসেবে টার্গেট কিলিং করা ছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের উদ্দেশ্য। এজন্য এর সদস্যরা নিজেদের কাছে চাপাতি রাখতেন।
রোববার (২১ অক্টোবর) রাতে গাবতলী ও সাভারের আমিনবাজার থেকে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা র্যাবকে এ তথ্য দিয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায়।
গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ল্যাপটপ, অ্যান্ড্রয়েড ফোনসহ বেশ কয়েকটি ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করেছে র্যাব। সেখানে জঙ্গিবাদের প্রশিক্ষণের নানা ক্লিপস পাওয়া গেছে। যেগুলো দেখে তারা উদ্বুদ্ধ হন এবং নতুন সদস্য সংগ্রহ করেন।
গ্রেফতাররা হলেন-মুফতি সাইফুল ইসলাম (৩৪), সালিম মিয়া (৩০), জুনায়েদ (৩৭) ও আহম্মেদ সোহায়েল (২১)।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আটক চার জঙ্গি সদস্য বর্তমানে আনসার আল ইসলামের হয়ে কাজ করলেও আগে তারা হরকাতুল জিহাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। পরবর্তীতে হরকাতুল জিহাদ ভেঙে গেলে আনসার আল ইসলামে যোগদান করে।’
জঙ্গিদের লক্ষ্য সম্পর্কে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠায় যারা বিরোধ সৃষ্টি করতে চায় তাদেরকে শাস্তি হিসেবে টার্গেট কিলিং করাই ছিল জঙ্গিদের উদ্দেশ্য। এজন্য তারা নিজেদের কাছে চাপাতি রাখতেন।’
র্যাব-৪ অধিনায়ক আরও বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের এই সদস্যের সঙ্গে আমরা আরও ২০-২৫ জন জঙ্গি সদস্যদের যোগাযোগের তথ্য পেয়েছি। তাদের সবাইকে আটকের চেষ্টা চলছে।