নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে এখনও মাধ্যমিকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার অনেক বেশি। তবে প্রতি বছর ক্রমান্বয়ে এ হার কমিয়ে আনা হচ্ছে। এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় নানা উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার প্রস্তুতি-সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষায় নিয়মিত ও অনিয়মিত শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে থাকে। কোনো বছর অনিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হলে সংখ্যাগত দিক থেকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম দেখায়। তবে মাধ্যমিকে এখনও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার অনেক বেশি। এটি ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা হচ্ছে। এ জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ে ‘মিড ডে মিল্ক চালু এবং শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক আনন্দপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি বৃত্তি ও উপবৃত্তির হার এবং অর্থের পরিমাণও বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি বছর মোট ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার্থী রয়েছে, যা গত বছর ছিল ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩। সে হিসাবে এ বছর পরীক্ষার্থী কমেছে আট হাজারের বেশি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ বছর অনিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় পরীক্ষার্থী কমেছে। তবে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, গত বছর নিয়মিত ও অনিয়মিত মোট পরীক্ষার্থীর পাস-ফেলের হিসাবটা আমাদের কাছে নেই, সেটি বের করলে এর কারণ জানা যাবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন আর প্রশ্নফাঁস হয় না। অনেকে গুজব ছড়িয়ে অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন বিক্রির নামে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে থাকে।
মন্ত্রী বলেন, প্রশ্নফাঁসের দিকে না ঝুঁকে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনোযোগী হতে হবে। পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার মূল্যায়ন সঠিকভাবে করা হবে। শিক্ষক ও অভিভাবকরা অনৈতিক পথে হাঁটবেন না। এতে শুধু আপনাদের সন্তান নয় দেশেরও ক্ষতি হয়ে থাকে।
অপকর্মকারীদের সতর্ক করে মন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দারা নজরদারী করছে। কেউ অপকর্ম ও গুজব ছড়ালে আইনের আওতায় আনা হবে।