নিজস্ব প্রতিবেদক: গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিমবলেছেন, জীবন বড় লম্বা নয়। একদিন মরে যেতে হবে। কেউ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবে না যে, এই জীবন নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারবো। কিন্তু এই জীবনে যতটুকু রেখে যাওয়া যায় ততটুকুই পরিপূর্ণতা দেবে। তাই অপ্রয়োজনে হানাহানি, সমালোচনা, ক্ষতিকর কাজ থেকে দূরে থাকা দরকার। তাই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের জীবন ও কর্মকাণ্ড হোক সবার কল্যাণ কামনায়।
সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলায় দেয়া রায়, আদেশ বা সিদ্ধান্ত, বিভিন্ন আইন সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াবলি অন্তর্ভুক্ত করে ল’ চেম্বার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলসিএমএস) নামে একটি www.lcmsbd.com ওয়েবসাইটভিত্তিক সফটওয়্যারের আপডেট ভার্সন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ বুধবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
ছিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সমিতির সম্পাদক এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। পরিচালনা করেন সমিতির সহ-সম্পাদক শরীফ ইউ আহমেদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, একটি দেশের বিচারব্যবস্থা সেই দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মানদণ্ডের মাপকাঠি। বিশ্বের অনেক দেশের বিচারব্যবস্থার চেয়ে আমাদের দেশের বিচারব্যবস্থা অনেক উন্নত। আমাদের বিচারবিভাগ যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেজন্য সবারই একসঙ্গে কাজ করা দরকার।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগের সমালোচনা করা যাবে, তবে সেটা হতে হবে গঠনমূলক। ঢালাওভাবে নয়। কিন্তু দেখা যায়, কেউ কেউ রায় পক্ষে গেলে স্বাগত জানায়। আর বিপক্ষে গেলে বলা হয়, আজ্ঞাবহ রায় দেয়া হয়েছে। আমাদের এই ধারণা ও প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শেষ আশ্রয়স্থল এই উচ্চ আদালত। সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের প্রতি যদি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যায় তবে এই ক্ষতি আমার-আপনার সবার।
উল্লেখ্য, ছিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ প্রায় দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আইনাঙ্গণে আধুনিকায়নের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় সারাদেশের আইনজীবীদের উচ্চ ও নিম্ন আদালতের মামলা এবং চেম্বার ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সহজ ও চমৎকারভাবে পরিচালনার জন্য সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে।