নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষা প্রশাসনে এবার ১১ কর্মকর্তাকে রদবদল করা হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সরকারি বাঙলা কলেজের উপাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন দফতর থেকে কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। আদেশে শিক্ষা ক্যাডারে ১১ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নানকে সিলেটের এমসি কলেজে, ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আবুল বাশারকে সিলেটের সরকারি কলেজে, নায়েমের উপ-পরিচালক মাসুদা বেগমকে কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক মুহাম্মদ নাজমুল হককে টঙ্গী সরকারি কলেেে, শিক্ষা অধিদফতরের প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক জাকির হোসেনকে কবি নজরুল কলেজের সংযুক্ত, কলেজ-১ শাখার সহকারী পরিচালক এ কে এম মাসুদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে, বাঙলা কলেজের উপাধ্যক্ষ সহিদুল ইসলামকে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ গোপালগঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
অন্যদিকে মাউশির মাধ্যমিকের পরিচালক হিসেবে পদায়ন পেয়েছেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যাপক মো. বেলাল হোসাইন, ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে ঢাকা কলেজের অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলামকে পদায়ন করা হয়েছে। মাউশির সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক রুপক রায়, কলেজ-১ এ সেসিপের সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেনকে পদায়ন করা হয়েছে।
এসব কর্মকর্তার মধ্যে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসেন সম্প্রতি এ পদে বদলি হয়ে আসেন। দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি এক নারী কর্মকর্তাকে মাউশি থেকে বদলি করা হয়। ওই কর্মকর্তা জাকিরের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে একটি অভিযোগ দেয়ার পর মন্ত্রণালয় তা যাচাই-বাছাই ছাড়া তাকে এ পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত ছিলেন নায়েমের উপ-পরিচালক মাসুদা বেগম। তিনি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে প্রেষণে কর্মরত অবস্থায় তার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে শিক্ষা সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। পুরান ঢাকার আনন্দময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের গভর্নিংবডির সভাপতি থাকাকালে আর্থিক দুর্নীতি ও অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগ ছিল মাসুদার বিরুদ্ধে। নিজের মেয়ের ফল পরিবর্তন করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে তাকে কুমিল্লায় বদলি করা হলেও কিছু দিনের মধ্যে নায়েমে বদলি হয়ে আসেন।