রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

খালেদাকে ১৭ বছর জেল খাটতে হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ২৫৩ বার পঠিত

আদালত প্রতিবেদক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাসহ দুটি মামলার রায়ের দণ্ড নিয়ে কারা হাসপাতালে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

তবে, খালেদা জিয়ার সম্মতি নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তার উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এই আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

আদালতের আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আদালত জামিন দেবেন কিন্তু তা দেননি। এটা নজিরবিহীন। আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আদালতের জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।’

তবে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আপিল বিভাগে সিসি ক্যামেরা বসানোসহ গত কয়েক দিনের কার্যক্রম দেখে আগেই আইনজীবীদের একটা ধারণা হয়েছিল যে, খালেদা জিয়াকে জামিন দেবে না। আজকের আদেশে সেটাই প্রমাণিত হলো।’

তিনি বলেন, আদালত কী কারণে খারিজ করেছেন তা বলেননি। তাই লিখিত আদেশ পাবার পর সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত প্যানেলে বসে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার ১৭ বছরের জেল হয়েছে। তাকে ১৭ বছর জেল খাটতে হবে। তাই তার জামিন আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। আদালত তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ড আদালতকে জানিয়েছে, খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসা শুরুর অনুমতি দিচ্ছেন না বলেই বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ তার উন্নত চিকিৎসায় কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তার অনুমতি পাওয়া গেলেই চিকিৎসা শুরু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত ২৮ নভেম্বর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে, এই মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন এবং গত ৭ অক্টোবর গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন গত ৫ ডিসেম্বর দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। এই নির্দেশে বিএসএমএমইউ নতুন মেডিকেল বোর্ড গঠন করে। কিন্তু বিএসএমএমইউ কোনো মেডিকেল রিপোর্ট দাখিল না করায় ৫ ডিসেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নজীরবিহীন অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মুহুর্মুহু স্লোগান, মাঝে মাঝে সরকার সমর্থক আইনজীবীদের প্রতিবাদের মুখে চরম হইচই-হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। ফলে বিচার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ প্রেক্ষাপটে আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চে ৮টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

এ অবস্থায় ১১ ডিসেম্বর বিকেলে বিএসএমএমইউ থেকে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। ওই প্রতিবেদন আজ আপিল বিভাগে উপস্থাপন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com