বিশেষ প্রতিবেদক: পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুদক্ষ ও পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী গড়তে সরকারের দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে যুগোপযোগী করতে চাই এবং একটা পেশাদার প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে চাই। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উন্নত ট্রেনিং দিয়ে একটি উন্নত দেশের মতো শক্তিশালী বাহিনী গড়তে চাই।
আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ২০১৯ এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স ২০১৯ এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন একটা চমৎকার সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে। তিনি ১৯৭৪ সালে আমাদের প্রতিরক্ষা নীতিমালা দিয়ে গেছেন। তারই আলোকে আমরা ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর জন্য নতুন আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় থেকে শুরু করে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা, আমরা বিভিন্ন জায়গায় সেনানিবাসও গড়ে তুলেছি নতুন কয়েকটি। যেটা দেশের জন্য যখন প্রয়োজন আমরা সে ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন এবং সেই পদক্ষেপ নিচ্ছি। কারণ আমরা চাই একটা পেশাদার প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠা করতে।
পরিবর্তনশীল বিশ্বে পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করা হচ্ছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ট্রেনিং এবং সমরাস্ত্র সম্পর্কে আমরা যথেষ্ট সচেতন এবং আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে আমরা সেটা জোগাড় করে দিচ্ছি এবং তৈরি করছি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় জনগণের পাশে থেকে অবদান রাখায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, এদেশের জনগণের সেবা করা আমাদের সবারই দায়িত্ব। কারণ জনগণের অর্থেই আমাদের বেতন-ভাতা, যা কিছু, সবই সাধারণ মানুষের অর্থে। কাজেই তাদের জীবন সুন্দর করাটাই আমাদের লক্ষ্য।
দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ এবং সফলতার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেখ মামুন খালেদ। ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে ৮৫ জন এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সে ৩৮ জন অংশগ্রহণ করেন। এসব প্রশিক্ষণার্থীর হাতে সনদ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
চীন, মিসর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, মালয়েশিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, তানজানিয়া, যুক্তরাজ্য, মালি, নাইজার এবং বাংলাদেশের প্রশিক্ষণার্থীরা ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে অংশ নেন।