মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

চার বছরের পরিকল্পনা, পরিচর্যায় বিশ্বকাপ মিলল যুব দলের

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ২৩৬ বার পঠিত

ক্রীড়া প্রতিবেদক : যুব দলের বিশ্বকাপ সাফল্যের পেছনে ক্রিকেট বোর্ডের দীর্ঘ পরিকল্পনা, খেলোয়াড়দের নিবিড় পরিচর্যা ও নিখুঁত প্রক্রিয়ার কথা বললেন নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, যুব ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জয় শুধু দেশের ক্রিকেট নয়, ক্রীড়াঙ্গানের এখন পর্যন্ত সবথেকে বড় সাফল্য।

সোমবার মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে যখন নাজমুল হাসান বলেছেন,`এই দল বিশ্বকাপে যাওয়ার আগ মুহূর্তে আমি বলেছিলাম, দলটা আমাদের সবথেকে গোছানো। এটাও বলেছিলাম দলটা ফাইনালে খেলার মতো। ওদের থেকে আশাটা বেশি ছিল। চ্যাম্পিয়ন হবো কিনা, জিতব কিনা এটা তো কেউ বলতে পারে না। তবে এই দলটা যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো সেটা আমরা বুঝতে পারছিলাম। আমি মনে করি শুধু ক্রিকেট না, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবথেকে বড় সাফল্য এখন পর্যন্ত।‘

দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় খেলোয়াড়দের বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করেছে বিসিবি। বিসিবি সভাপতি নিজেদের প্রচেষ্টার কথা জানালেন গণমাধ্যমে,

`২০১৬ বিশ্বকাপে আমাদের দল ভালো ছিল। আমরা বলেছিলাম যে আমাদের দল ফাইনাল খেলবে। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেই আমরা। তখন আমরা বুঝতে পারছিলাম, আমাদের কোথায় কোথায় ঘাটতি ছিল। তখনই আমরা ঠিক করি এ বিশ্বকাপের জন্য আমারা আলাদাভাবে কিছু করবো।‘

`এরপর আমরা বয়সভিত্তিক দল যেমন অনূধর্ব ১২, ১৩, ১৫ ও ১৭ ক্রিকেটে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট আয়োজন করি। সেখান থেকে আমরা খেলোয়াড় বাছাই করি। তাদের নিয়ে আমরা প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। এরপর দুটি কাজ করি, প্রথমত, সেরা দল গঠন করা। দ্বিতীয়ত, কোচিং স্টাফ বেছে নেওয়া। এবার বিদেশি কোচিং স্টাফ দিয়েছি। হেড কোচ ও স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ বিদেশ থেকে এনেছি। সবকিছু দিয়ে এদেরকে আমরা আলাদা করে দিয়েছিলাম এবং দেশের থেকে বেশি বাইরে রাখার চেষ্টা করেছি।‘

`দেশের মাটিতে পারফরম্যান্স ঠিকঠাক থাকলে আমরা বাইরে গিয়ে খেলতে পারি না। ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া; ওখানে খেলা কঠিন হয়। এজন্য আমরা ওদেরকে দিয়ে ৩০ ওয়ানডে খেলিয়েছি। ভালো ভালো জায়গায় পাঠিয়েছি। নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কায় গিয়ে খেলে এসেছে। এসব কিছু মিলিয়ে প্রস্তুতি বেশ ভালো ছিল। তাই ওদেরকে ঘিরে আমাদের প্রত্যাশা ভালো ছিল।‘

বোর্ড প্রধানের মতে, যুব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সাফল্য পেতে সবথেকে বেশি কাজ করেছে খেলোয়াড়দের চেষ্টা ও তাদের আত্মবিশ্বাস। মাঠে ক্রিকেটে ছাড় না দেওয়ার প্রবণতা এবং প্রতিপক্ষকে স্রেফ উড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা থেকেই বড় কিছু অর্জন হয়েছে বলে মনে করেন নাজমুল হাসান।

`দলটাকে যদি দেখেন প্রত্যেকটা ম্যাচ, শুধু বিশ্বকাপ না, দেশের বাইরে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডে যখন গেল সব সময় এদের মধ্যে একটা দলগত চেষ্টা ছিল। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ওপর এই দলটা নির্ভর না। ব্যক্তিগত সামর্থ্য থাকতে পারে কিন্তু এরা সবাই দলগত পারফর্মার। সব সময় মনে হয়েছে এখানে একটা দল খেলছে। এটা এ দলের সবথেকে বড় প্লাস পয়েন্ট। ওরা জেতার জন্য খেলে। প্রত্যেকটা বল, বলের অ্যাকশন দেখলে মনে হয় ওরা জেতার জন্য তাদের জান-টা দিয়ে দিচ্ছে। ফিল্ডিং অসাধারণ। ফিটনেস এবং ফিল্ডিং যেহেতু আমরা অল্পবসয় থেকেই জোর দিয়েছি তাই এ সাফল্য এসেছে।‘

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com