সিটিজেন প্রতিবেদক: বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ। দিবসটি উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এ বছরের দিবসের মূল লক্ষ্য মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সুষ্ঠু ও সমান প্রবাহ নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্য অর্জনে সকল পর্যায়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং অধিকতর কর্মসূচি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি বাণী দিয়েছেন, যেখানে তিনি বলেন, ‘মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমানোর লক্ষ্যে অধিকতর কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। এজন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব পর্যায় থেকে সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সুরক্ষিত ও আলোচিত জাতি হিসেবে বিশ্বে দাঁড় করাতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৬ সালের জুন ও জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়, ১৯৪৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালনের প্রস্তাব দেওয়া হলে তা ১৯৫০ সালে কার্যকর হয়। অর্থাৎ ৭ এপ্রিল ’বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ বলে নির্ধারিত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের উদ্দেশ্য হলো সারা বিশ্বে স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সুষম বিতরণ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি, বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে আলোচনা এবং সমাধানের পথ অনুসন্ধান করাও এই দিবসের অন্যতম লক্ষ্য। WHO প্রতিবছর একটি বিশেষ স্বাস্থ্য ইস্যু বেছে নেয়, যা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সারা পৃথিবীজুড়ে এদিনটি পালিত হয়।
এবারের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য এবং তাদের উন্নয়নের দিকে আরও মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়।