অনলাইন ডেস্ক, সিটিজেন নিউজ: তিউনিসিয়ার ভূমধ্যসাগর উপকূলে নৌকা ডুবে নিহত ২৭ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে। সোমবার রাতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করে সেবা সংস্থাটি।
নিহতদের বেশিরভাগের বাড়ি সিলেট বিভাগে। বাকিদের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল, ঢাকার টঙ্গী ও কিশোরগঞ্জ এলাকায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বিডিআরসিএসের পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন বিভাগের পরিচালক জাফর ইমাম শিকদার জানান, তিউনিশিয়া রেড ক্রিসেন্টের প্রাদেশিক প্রধান ড. মাঙ্গি সিলামের মাধ্যমে জীবিত চার বাংলাদেশির সঙ্গে ফোনালাপের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যানুযায়ী নিহত ২৭ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো গতকাল সকাল পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নেভি ক্যাম্পে ছিল।
নিহতরা হলেন- নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার জয়াগ গ্রামের নাসির, ঢাকার টঙ্গীর কামরান, সিলেটের জিল্লুর রহমান, কিশোরগঞ্জ জেলার জালাল উদ্দিন, সুনামগঞ্জের মাহবুব, মাদারীপুর জেলার সজিব, সিলেট বিয়ানীবাজারের রফিক ও রিপন, শরীয়তপুরের পারভেজ, কামরুন আহমেদ মারুফ, মৌলভীবাজার কুলাউড়ার শামিম, কিশোরগঞ্জ জেলার আল-আমিন, ফেন্সুগঞ্জ সিলেটের লিমন আহমেদ,আব্দুল আজিজ ও আহমেদ,সিলেট দক্ষিণ সুরমার জিল্লুর, বাইল্যাহার মৌলভীবাজারের ফাহাদ, সিলেট ফেন্সুগঞ্জের আয়াত, হাউড়তোলা সিলেটের আমাজল, সিলেটের কাসিম আহমেদ,সিলেট বিশ্বনাথের খোকন, রুবেল, সিলেটের মনির,বিশ্বনাথ সিলেটের বেলাল, সুনামগঞ্জের মাহবুব, নাদিম, সিলেট গোলাপগঞ্জের মারুফ প্রমুখ।
নৌকাডুবি থেকে বেঁচে ফেরা কয়েকজন বাংলাদেশির সঙ্গে কথা বলে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট। বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি আরও জানায়, নৌকাডুবি থেকে বেঁচে ফেরা ছয়জনের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায়।
নৌকাডুবি থেকে বেঁচে যাওয়া শিশির বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে ফোনে জানান, বেঁচে যাওয়া ছয়জনের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার চারুগা গ্রামে। তারা হলেন, রাজীব, উত্তম, পারভেজ, রনি, সুমন ও জুম্মান।
নৌকাডুবিতে নিহত ও জীবিত বাংলাদেশিদের তথ্য আদান-প্রদানের জন্য বিডিআরসিএস দুটি হটলাইন চালু করেছে। হটলাইন নম্বর দুটি হলো +৮৮-০২-৪৯৩৫৪২৪৬ ও ০১৮১১৪৫৮৫২১। এছাড়া ৪৯৩৫৪২৪৬ নম্বরে অফিস চলাকালীন প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এবং ০১৮১১৪৫৮৫২১ নম্বরটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জাতীয় সদর দপ্তর, ৬৮৪-৬৮৬, বড় মগবাজার অথবা ৬৪টি জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে আহত ও নিহতের স্বজনরা সরাসরি যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ ও রেড ক্রিসেন্টের সেবা নিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার সময় নৌকা ডুবিতে নিহত হন বিভিন্ন দেশের অর্ধশত অভিবাসী। যার মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশের নাগরিক।