আন্তর্জাতিক ডেস্ক, সিটিজেন নিউজ: অস্ট্রেলিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাথায় স্কার্ফ পরা নিষিদ্ধের একটি আইন অনুমোদন করেছেন সংসদ সদস্যরা।
সংসদে অস্ট্রেলিয়ার ডানপন্থী সরকার এই প্রস্তাব তুলেছিল বলে খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি ও আলজাজিরা।
এ ধরনের আইনকে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য বলে অভিহিত করা হচ্ছে। তবে এই আইনে দেশটির ক্ষমতাসীন ডানপন্থী জোট সরকারের দুটি দল পিপলস পার্টি ও ফ্রিডম পার্টির সদস্যরা সমর্থন দিয়েছেন। এর স্পষ্ট বার্তা, তাদের সবারই টার্গেট মুসলিমদের স্কার্ফ।
আইনে বলা হয়েছে, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আদর্শিক অথবা ধর্মীয়ভাবে প্রভাব ফেলে এমন কোনো পোশাকে মাথা ঢাকা যাবে না।’
ফ্রিডম পার্টির শিক্ষাবিষয়ক মুখপাত্র ওয়েনডিলিন মোয়েলজার বলেন, ‘আইনটি রাজনৈতিক ইসলামের বিরুদ্ধে একটি বার্তা।’ আর পিপলস পার্টির এমপি রুডলফ তাসকিনার বলেন, ‘আইনটি নারীদের ‘অধীনতা’ থেকে মুক্তি দেবে।’
সরকার অবশ্য স্পষ্টই জানিয়েছে, আইনটি শিখ ছেলে এবং খ্রিস্টান কেপ্পাদের জন্য প্রযোজ্য হবে না।
আইন অনুমোদনের আগে যখন সরকার এ ধরনের প্রস্তাব দিয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃত মুসলিম সংগঠন আইজিজিও তার নিন্দা জানিয়েছিল। সংগঠনটি এটিকে ‘লজ্জাস্কর’ এবং ‘অপকৌশল’ বলে আখ্যায়িত করেছিল।
এখন আইজিজিও বলছে, এ ধরনের আইনের ফলে দেশটিতে একটি ধর্মের মেয়েরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
অবশ্য সংসদের বেশিরভাগ বিরোধীদলীয় এমপি সরকারের এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে কতিপয় এমপি শিশুদের কল্যাণের পরিবর্তে এ ধরনের পদক্ষেপের জন্য সরকারের কড়া সমালোচনাও করেন।
পিপলস পার্টি ও ফ্রিডম পার্টি জোট করে ২০১৭ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। দুটি দলই দেশটিতে অভিবাসী বিরোধী বলে পরিচিত।