ক্রীড়া ডেস্ক : কলপ্যাক চুক্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট ছেড়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছিলেন রাইলি রুশো, কাইল অ্যাবোট, সিমন হার্মার ও ডুয়ানেন অলিভিয়ের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা।
শুধু তাঁরাই নন, তাদের দেখানো পথে হেঁটেছেন একাধিক প্রোটিয়া ক্রিকেটার। কিন্তু ব্রিটেনের নেওয়া একটি সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়তে যাচ্ছে কলপ্যাক চুক্তিতে ইংল্যান্ডে যাওয়া ক্রিকেটারদের। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ব্রিটেন।এ কারণে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের পর ইংল্যান্ডে কোনো ক্রিকেট খেলতে পারবেন না।
ফলে কাযত ‘বেকার’ হয়ে পড়বেন তাঁরা। এ অবস্থায় তাদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ডের নতুন পরিচালক গ্রায়েম স্মিথ জানিয়েছেন, কলপ্যাক চুক্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়া ক্রিকেটাররা চাইলে জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন। তাদের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের দরজা খুলে দেবেন স্মিথ।
স্মিথকে গত ডিসেম্বরে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার পরিচালক করা হয়। গত শুক্রবার তাঁর সঙ্গে আরও দুই বছরের চুক্তি বাড়ায় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। দায়িত্ব গ্রহণের পর স্মিথ কলপ্যাক চুক্তি নিয়ে বলেন, ‘কলপ্যাক চুক্তি যেহেতু শেষের দিকে, আমরা সব সময়ই চাইব আমাদের তাঁবুতে সেরা খেলোয়াড়াই থাকুক। এটা নিয়ে দীর্ঘদিন একাধিক কমিটি কাজ করেছে। এ মুহূর্তে আমরা এর সবাধান চাই।’
স্মিথ ধারনা দিয়েছেন, যারা জাতীয় দলে ফিরতে চান তাদেরকে সুযোগ করে দেবেন তিনি, ‘সিদ্ধান্তটা সম্পূর্ণ তাঁদের। তাঁরা যদি আমাদের প্রক্রিয়ার ভেতরে আসতে চায় তাহলে স্বাগতম। তাদেরকে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে সুযোগ দেব। সেখানে ভালো করলে অবশ্যই জাতীয় দলের জন্য বিবেচিত হবে। এতে সবাই পরিস্কার ধারনা পাবে আমরা আমাদের সেরা খেলোয়াড়কে কতটা মূল্য দিচ্ছি।’
কলপ্যাক চুক্তিতে নিকট অতীতে যে সব খেলোয়াড় গিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম রাইলি রুশো, কাইল অ্যাবোট। এছাড়া অবসর নিয়ে ইংল্যান্ডে যোগ দিয়েছে ভের্নন ফিল্যান্ডার ও মরনে মর্কেল।