পর্ব -১
এম,পারভেজঃ উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জ হেলাল উদ্দিনের উদ্যোগে হযরত শাহ কবির (রহঃ)মাজারে সম্পত্তি জবরদখলের হাত থেকে রক্ষা পেলে ও আবারো তা দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন দখলবাজরা।
রাজধানী ঢাকা উত্তরার উত্তরখান থানাধীন হযরত শাহ কবির রহঃ মাজার ওয়াকফ এস্টেট ইসি নং৬৫৯ সম্পত্তিটি আবার ও ধীরে ধীরে স্হায়ী ভাবে দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে একদল ভুমি দখলবাজ। হযরত শাহ কবির রহঃ মাজার ওয়াকফ এস্টেট এর ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর গত ২১/৫/২০১৬ ইং তারিখ তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রস্তাবিত কমিটি জমা দেয়।
পূর্বের কমিটির নিকট অফিসিয়াল মোতাওয়াল্লী হিসাব চাইলে তিনি হিসাব না দিয়ে মামলার আশ্রয় নিয়ে দীর্ঘ সময় স্বঘোষিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । তিনি দায়িত্ব পালন করা কালিন সময়ে মাজারের পুকুরের পূর্ব এবং উত্তর পাসে মেইন রাস্তার পাশে প্রায় ৫০/৬০ দোকান ঘর বানিয়ে বিভিন্ন লোকের নিকট ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নিলে ও তিনি নিরব ছিলেন।
প্রায় ৫ বিঘা জমি রয়েছে এ এস্টেটে,যেখানে রয়েছে হজরত শাহ কবির রহঃ, হযরত শাহ পাগল রহঃ ও বিবি সাহেবার মাজার,একটি মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, পানির পাম্প, উত্তরখান থানা আওয়ামী লীগের অফিস ও ৪৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর অফিস।
সুলতানুল আউলিয়া হযরত শাহ্ কবির রহঃ মাজার ও হযরত শাহ পাগল রহঃ মাজারে প্রতি দিন শত শত ভক্ত আসেকান, পাগল ফকির জেয়ারতের উদ্দেশ্যে আসে এবং তাদের মান্নতের টাকা পয়সা,গরু খাসি, মুরগী সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র রক্ষার জন্য ওয়াকফ প্রশাসক এ ডি সি, শিক্ষাকে মোতাওয়াল্লী নিয়োগ করেন এবং তাকে ব্যবস্হাপনা কমিটি করার আদেশ দিলে এডিসি শিক্ষা এসিল্যান্ড উত্তরা,ভুমিকর্মকর্তা উত্তরখান কাচকুড়া,স্কুল শিক্ষক,মাদ্রাসা শিক্ষক,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, একজন সমাজ সেবক ও উত্তরখান থানার অফিসার কে দিয়ে একটি কমিটি করেন। মাজার এস্টেটের সম্পত্তি রক্ষার জন্য কমিটি করা হলেও কমিটি ঘোষণার ৩ মাসের মাথায় হযরত শাহ কবির রহঃ মাজারের টাকা বোঝাই দান বাক্স চুরি হয়ে যায়। আজ পর্যন্ত টাকার বাক্সটির হদিস পাওয়া যায়নি। এভাবে মাজারের আয়,মসজিদ মাদ্রাসার আয়,মান্নতে টাকা ও গরু খাসি, মুরগি বিক্রির টাকা, দোকানে ভাড়া সব মিলে বছরে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার হিসেবে আয় হলেও আল্লাহর অলি আধ্যাত্মিক সাধক হজরত শাহ কবির রহঃ মাজারে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি দীর্ঘ ৮ বছর।
এলাকার পাগল ফকির, আসেকান ভক্ত বৃন্দ ও স্থানীয়রা জানায় অফিসিয়াল মোতাওয়াল্লী এডিসি শিক্ষা মাজার এস্টেটের কমিটি দেওয়া শুরুটা ভালোই ছিলো। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে তা অদৃশ্য শক্তির কারণে দূর্বল হয়ে যায়। কমিটির সদস্যদের মাজার এলাকায় উপস্থিতি না থাকার কারণে এলাকার কিছু বখাটে লোকে পুরাতন স্হপনা ভেঙে পুকুরের উত্তর এবং পূর্ব পাসে সারিবদ্ধভাবে নিজেরা বিটি পাকাপোক্ত করে স্হায়ী ভাবে দোকান ঘর তৈরী করে ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মাজারের সম্পত্তি জবরদখল কারী সিন্ডিকেট এতটাই শক্তিশালি যে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সাড়া দেশের মানুষ যখন ঘরবন্দী, ঠিক তখন-ই তারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের অন্ধকারে মাজারে সম্পত্তিকে নিজেদে সম্পত্তি বানিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় চালিয়ে দোকান নির্মাণের সময় খবর পেয়ে উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আবারও তারা প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে দোকানে ইটের দেয়াল সহ উপরে টিন লাগিয়ে ফেলে।
এ ব্যাপারে স্হানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী, অবৈধভাবে নির্মাণ করা দোকানের বিষয়ে উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন জানায় বিষয়টি তাদের নলেজে আসছে এবং তিনি মাজার এস্টেট পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে মাজারের সম্পত্তি রক্ষার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।