ক্রীড়া প্রতিবেদক : সামনে জাতীয় নারী দলের ব্যস্ত সূচি। খেলতে হবে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব। আছে এশিয়া কাপও। এজন্য খুব দ্রুত জাতীয় দলের কোচ নিয়োগ দেওয়ার চিন্তা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবির উইমেন্স কমিটির চেয়ারম্যান শফিউল আলম নাদেল জানালেন, কোচ নিয়োগের কার্যক্রম চলছে অনেক দিন ধরেই। এরই মধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছেন অনেকজন। তাঁদের মধ্যে একজনকে চূড়ান্ত করেছে বোর্ড। আনুষ্ঠানিকতা শেষ করলেই বিসিবি নাম ঘোষণা করবে। বোর্ড আশা করছে খুব শিগগিরিই হাই প্রোফাইল কোচ নারী দলের দায়িত্ব নেবেন।
২০১৮ সালের ২১ মে ভারতীয় কোচ আঞ্জু জৈন জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন। শুরুতে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে। এ সময়ে বাংলাদেশ এশিয়া কাপ জেতায় ২০২০ নারী বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার চুক্তি বাড়ানো হয়। বিশ্বকাপে মেয়েদের কোচিং স্টাফের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট ছিল না বিসিবি। বিশেষ করে টুর্নামেন্ট চলাকালীন দলের ভেতরে আঞ্জু জৈনর অযাচিত কর্তৃত্বের বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি তাঁর পরিকল্পনা এবং দল সাজানোতেও ঘাটতি পেয়েছে বিসিবি। এজন্য নতুন করে তাঁর সঙ্গে চুক্তি নবায়নে আগ্রহ ছিল না দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার। বিসিবির আগ্রহ না থাকায় ভারতের বারোদা ক্রিকেট এসোসিয়েশনে নারী ক্রিকেট দলের কোচের চাকরি নিয়েছেন সাবেক ভারতীয় এ ক্রিকেটার। বিসিবিও লকডাউনের মধ্যেই চালিয়েছে নতুন কোচ নিয়োগের কার্যক্রম।
গণমাধ্যমে শফিউল আলম নাদেল বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বকাপের পর থেকেই কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ছিলাম। চার থেকে পাঁচজন কোচ বাংলাদেশের দায়িত্ব নিতে আগ্রহও দেখিয়েছে। তাদের ভেতরে আমরা একজনকে চূড়ান্ত করেছি। আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেই আমরা তাঁর নাম ঘোষণা করবো।’
নারী উইংয়ের চেয়ারম্যানের আশা, ‘দ্রততম সময়ের মধ্যে আমরা কোচ নিয়োগ দিতে পারব। হয়তো এক মাসের মতো লাগতে পারে।’ তবে এবারও স্থানীয় কোচরা সুযোগ পাচ্ছেন না। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় কোচরা খন্ডকালীন দায়িত্ব পেলেও পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পাননি। এবারও দেশের বাইরে থেকে কোচ উড়িয়ে আনছে বিসিবি। শফিউল আলম বলেছেন, ‘মেয়েদের কোচ হতে স্থানীয় অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে আমরা চাই আগের মতো বিদেশি কোচই নিয়োগ দিতে। হয়তো সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে স্থানীয় কেউ থাকতে পারে।’