ক্রীড়া ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের গাইডলাইন হাতে আসতেই কাজে নেমে পড়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। ক্রিকেটারদের কোয়ারেন্টাইন করার পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
আগামী ২২ আগস্ট সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পরিকল্পনা সেরে ফেলেছে চেন্নাই সুপার কিংস। ওদিকে, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাদের ক্রিকেটারদের কোয়ারেন্টাইন করে ফেলেছে। সুরক্ষার বিষয়ে ক্রিকেটারও বাড়তি সতর্ক। অধিকাংশই এবার পরিবারকে ছাড়া আইপিএল গ্রহে পা রাখার পক্ষপাতী। এক সিনিয়র ক্রিকেটারের কথায়, ‘আমার পাঁচ বছরের সন্তান রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই পরিবারকে সঙ্গে রাখার ঝুঁকি নেব না।’
আমিরাতে আইপিএল শুরুর আগে এবং টুর্নামেন্ট চলাকালীন ক্রিকেটার ও তাঁদের পরিবার, সাপোর্ট স্টাফ, টিম আধিকারিক থেকে কর্ণধার- সবাইকেই বেশ কিছু প্রোটোকল মেনে চলতে হবে। বুধবার আট ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সে বিষয়ে ১৬ পাতার গাইডলাইন পাঠিয়েছে বিসিসিআই। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আমিরশাহিতে জৈব-সুরক্ষিত পরিবেশে প্রবেশ করার আগে প্রত্যেকের পাঁচবার করোনা পরীক্ষা আবশ্যিক। যদিও ফ্র্যাঞ্চাইজিরা অতিরিক্ত সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগে ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষা করানোর পক্ষপাতী।
এ প্রসঙ্গে আইপিএলের এক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তা বলেছেন, ‘প্রত্যেকে বাড়ি থেকেই একটা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে এলে খুব ভাল হয়। তারপর এসওপি অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তাঁদের পরবর্তী দুবার করোনা পরীক্ষা করিয়ে আমিরাতের বিমানে তোলা হবে। বোর্ডের তরফে আবশ্যিকভাবে দুটো পরীক্ষার কথা বলা হলেও, অধিকাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজি দেশ ছাড়ার আগে তার থেকে বেশিবার করোনা পরীক্ষা করানোর ওপর জোর দিচ্ছে।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিসিসিআইয়ের নির্দেশ, প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজি এ বছর সর্বাধিক ২৪ জন ক্রিকেটারকে আমিরাত নিয়ে যেতে পারবে। তবে সাপোর্ট স্টাফদের সংখ্যায় কোনও বিধিনিষেধ নেই। বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি ৬০ সদস্যের সাপোর্ট স্টাফ নিয়ে যাচ্ছে। যার মধ্যে পুরো একটা মেডিক্যাল টিম থাকছে। আরব দেশে যাঁরা নিয়মিত ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখবেন। এ প্রসঙ্গে বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষকর্তার কথায়, ‘আমিরাতে প্রতি পাঁচদিন অন্তর পরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিরা আরও বেশি সুরক্ষিত পদক্ষেপ করতে চাইলে, স্বাগত।