অর্থনৈতিক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: সব মেয়াদি ঋণ, লিজ বা অগ্রিমের কিস্তি পরিশোধে দণ্ড আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর মাধ্যমে ১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তিগুলো ডেফার্ড হিসাবে বিবেচনায় নিয়ে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের গ্রাহকের ঋণ/লিজ/অগ্রিমের ওপর সুদ/মুনাফা হিসাবায়নের ক্ষেত্রে কোনো দণ্ড বা সুদ বা অতিরিক্ত ফি/চার্জ/কমিশন (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এক্ষেত্রে অক্টোবর ২০১৯ থেকে থেকে হিসাবায়ন কার্যকরের নির্দেশ দিয়ে আরও বলা হয়েছে -এই সময়ে স্বল্প ও দীর্ঘ সব মেয়াদি ঋণ/লিজ বা অগ্রিমের কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনর্নির্ধারণ করতেও বলা হয়। পাশাপাশি যতসংখ্যক কিস্তি বকেয়া থাকবে- তা সময় বাড়িয়ে পরিশোধে নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. জুলকার নায়েন স্বাক্ষরিত এ সম্পর্কিত এক সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে তা দেশে কার্যরত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিশ্ব বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় ঋণ/লিজ/অগ্রিম শ্রেণিকরণের বিষয়ে কিছু শিথিলতা আনা হয়েছিল। এখনও যার কারণে ঋণ/লিজ/অগ্রিম গ্রহীতার পক্ষে অনেকাংশে স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব লাঘবে এই নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী ডিএফআইএম সার্কুলার নং-০১, তারিখ ২৪ মার্চ ২০২০ এর কার্যকারিতার মেয়াদ, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১৮ (ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশ জারি করা হয়েছে।