নিজস্ব প্রতিবেদক: চার শর্তে মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) থেকে আগের ভাড়ায় চলাচল শুরু করেছে গণপরিবহন। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। আগের ভাড়ায় ফিরে যাওয়ায় সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন বাসে যাত্রী উপস্থিতিও ছিলো লক্ষ্যণীয়।
মিরপুর-১, ২, ১০ নম্বর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, আগারগাঁও এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
কথা হয় রাজধানীর মিরপুর-১ থেকে মোহাম্মদপুরের যাত্রী মোহাম্মদ মোস্তফার সঙ্গে। তিনি বলেন, করোনার কারণে গত কয়েকমাস ধরে বাইরে বের হওয়া ছিল আতঙ্কের। তবে জীবনতো থেমে থাকে না। তাই গণপরিবহনেই চলাচল করছি। এতদিন স্বাভাবিক ভাড়ার তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে। সরকার আজ থেকে আগের ভাড়ার গণপরিবহন চলাচলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। কারণ আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কাছে বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করা কষ্টসাধ্য ছিলো।
মিরপুর থেকে মোহাম্মদপুর রুটের বাসে করোনার কারণে ৩০ টাকা ভাড়া নেওয়া হলেও, আজ থেকে আগের ভাড়া ২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এ যাত্রী। এসময় সিটের চেয়ে বেশি যাত্রী নেওয়া হয় কিনা, সে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের দেখার অনুরোধ জানান তিনি।
মোহাম্মদপুর থেকে আব্দুল্লাপুর রুটে চলাচলকারী প্রজাপতি পরিবহনের চালক ইমাম হোসেন বলেন, সকাল থেকেই আগের নিয়মে সিট অনুযায়ী যাত্রী নিয়ে চলাচল করছি। অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হচ্ছে না। ভাড়াও আগের মতোই নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আগের ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার বাসে যাত্রী বেড়েছে। করোনার কারণে ভাড়া বেশি হওয়ায় অনেকে বাসে চলাচল বন্ধ করেছিলেন। এখন তারাও বাসে চলাচল শুরু করেছেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ রাইজিংবিডিকে বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে আগের ভাড়ায় বাস ও গণপরিবহন চালাতে আমরা প্রস্তুত ছিলাম। মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পরিবহন শ্রমিকদের নির্দেশনা দিয়েছি, সরকারের দেওয়া সব শর্ত যেন যথাযথভাবে মেনে চলাচল করে।
এর আগে গত শনিবার গণপরিবহনে আগের ভাড়ায় সিট অনুযায়ী যাত্রী নিয়ে একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সে সময় দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে চারটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়।
শর্তগুলো হলো- আসন সংখ্যার অতিরিক্ত কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না; গণপরিবহনে যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/কন্ডাক্টর, হেলপার এবং টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাস্ক পরা/ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সাবান-পানি/হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে; যাত্রার শুরু ও শেষে বাস-মিনিবাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
এছাড়া যানবাহনের মালিকদেরকে যাত্রীদের হাতব্যাগ, মালামাল জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।