নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী বছর দেশের সকল উপজেলায় একটি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক স্তর চালু করা হবে। দুই বছর মেয়াদি এ স্তরে চার বছরের শিশুদের ভর্তি করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েন অব বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২০ ও নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘সারাদেশে দুই হাজার ৫৮৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২১ সাল থেকে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালু করা হবে। এটি এক বছর থেকে বাড়িয়ে দুই বছর প্রাক-প্রাথমিক করায় সহকারী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এসব শিক্ষক তিন বছর বদলিও হতে পারবেন না। প্রথম ধাপে এটি পাইলটিং হিসেবে পরিচালিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিটি ক্লাস্টার থেকে একটি করে বিদ্যালয় নির্বাচন করে সেই তথ্য ই-মেইলের পাশাপাশি হার্ডকপি আকারে অধিদপ্তরে পাঠাতে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্বাচিত বিদ্যালয়ে একটি সুনির্দিষ্ট বা স্বতন্ত্র ও সুসজ্জিত প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিকক্ষ ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে ১৫ দিনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন শিক্ষক অবশ্যই থাকতে হবে।’
পাইলটিংয়ের জন্য নির্বাচিত বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক কমপক্ষে তিন বছর অর্থাৎ, ২০২৩ সালের আগে কোনো অবস্থায় ওই বিদ্যালয় থেকে বদলি হতে পারবেন না বলেও জানান সচিব আকরাম আল হোসেন।
তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটির সমন্বয়ে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা পাইলটিং কার্যক্রমের জন্য অন্তবর্তীকালীন প্যাকেজ প্রণয়ন করা হয়েছে।
স্বল্প পরিসরে ২০১০ সালে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালু করে সরকার। এরপর ২০১৪ সালে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি এই শ্রেণি চালু করা হয়। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুর কথা বলা আছে।
চার বছর বয়স থেকেই শিশুদের প্রাক-প্রাথমিকে ভর্তি এবং এই শ্রেণির মেয়াদ দুই বছর করার বিষয়টি গত জুন মাসে অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিশেষ অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, ইরাবের সভাপতি সাব্বির নেওয়াজ।