নিউজ ডেস্ক : দুশ্চিন্তা অথবা অস্থিরতা অনুভব করা আজকাল একটি সাধারণ ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। প্রত্যেক মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময় এই অবস্থার মধ্যদিয়ে যান। দুশ্চিন্তা একজন মানুষকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি স্বাস্থ্যের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
কিছু উপায় বা কৌশল রয়েছে যেগুলো দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে এবং মনকে স্থির রাখে। টাইমস অব ইন্ডিয়া দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য ১০টি উপায় তুলে ধরেছে-
লক্ষ্য ঠিক করুন: সবসময়ই কোনো কিছু করার আগে লক্ষ্য ঠিক করে নিন। লক্ষ্য নির্ধারণ করা থাকলে ওই কাজেই মনোযোগ থাকে। কেন কাজটি করছেন সেটা মনে করিয়ে দেয়। এর ফলে আপনার দুশ্চিন্তার মাত্রা কমবে।
মেডিটেশন: মেডিটেশন করলে মন প্রশান্ত থাকে। খুব সহজেই আপনি মেডিটেশন অনুশীলন করতে পারেন। এজন্য বিশাল অর্থ খরচ করে কোনো ক্লাস করার প্রয়োজন নেই। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের মেডিটেশন গাইড পাওয়া যায়। কয়েকটি পদ্ধতি ডাউনলোড করে নিন। নিজেই অনুশীলন শুরু করে দিন।
ডুডল বা কালার: সময় পেলেই কোনো সৃজনশীল কাজে মনোযোগ দিন। আঁকা আঁকি করা বা কোনো কিছু নিয়ে খেয়ালিপনা করে সময় নষ্ট করলে মানসিক চাপ কমে যায়। এক্ষেত্রে কালারিং থেরাপি আজকাল বেশি জনপ্রিয়। এছাড়া বইয়ে রঙ করাও সম্প্রতি মানসিক চাপ কমানোর ক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
হাঁটতে যাওয়া: দুশ্চিন্তা দূর করার চমৎকার উপায় হলো হাঁটাহাঁটি করা। চারপাশের কোলাহল আর শীতল বাতাসের পরশ আপনার দুশ্চিন্তা ভুলিয়ে দেবে।
কাজের বিরতি: কাজের একটা তালিকা তৈরি করে নিন। সময়কে ভাগ করে তালিকাভুক্ত করে নিন। নতুন কোনো কাজ করার আগে ৫ মিনিট বিরতি নিন। আপনি কী করতে যাচ্ছেন সেটার দিকে পুরোপুরি মনোযোগ দিন।
ফোন দূরে রাখুন: সব জায়গাতেই ফোন নিয়ে যেতে হবে এমন নয়। বাথরুমে যাওয়া বা হাঁটতে গেলে ফোন রুমে রেখে যান। এমনকি খাওয়ার সময়ও ফোন নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনো মানে হয় না। কোনো কিছু না ভেবে বসে খাওয়া সেরে ফেলুন।
গৃহস্থলীর কাজ করা: মানসিক চাপমুক্ত থাকার ভালো উপায় হচ্ছে গৃহস্থালির টুকিটাকি কাজ করা। মানসিক প্রশান্তির জন্য ঘরের বিভিন্ন ধরনের টুকিটাকি কাজ করুন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে থাকা: সবসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকার প্রয়োজন নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দুশ্চিন্তা বাড়ানোর জন্য কিছুটা দায়ী। এটি আপনার সৃজনশীলতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিছু সময়ের জন্য হলেও এগুলো থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।
প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো: সবসময়ই প্রিয়জনদের সঙ্গে থাকতে হবে এমন নয়। ভালো কিছু সময় পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে কাটাতে পারেন। দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করবে। সবাই মিলে বাইরে খেতে যাওয়া বা কিছু সময় বাড়িতে একসঙ্গে কাটানো, এগুলো সহজাতভাবে মানসিক চাপ কমায়।
গান শোনা: গান শুনলে দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকা যায়। গান মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ভালো কোনো গান শুনুন, অন্যরকম অনুভূতি কাজ করবে।