জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের জবাব দিতে এবং আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে নেতা-কর্মীদের তৎপর হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার দলের কেন্দ্রীয় অফিসের দপ্তর সেল থেকে চট্টগ্রামের ৮টি বিভাগের দপ্তর, উপদপ্তর সম্পাদকের সঙ্গে হওয়া এক বৈঠকে (ভার্চুয়ালি) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সব নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং দলীয় প্রচার-প্রচারণা জোরদার করা, তৃণমূল পর্যায়ের সব কর্মকাণ্ড কীভাবে তুলে ধরা যায় এবং বিরোধী পক্ষের অপপ্রচার ও পাল্টা জবাব দেওয়া সভায় গুরুত্ব পেয়েছে। এছাড়া কনভেনশনাল মিডিয়ার পাশাপাশি এখন অনলাইন মিডিয়ার বিস্তারে দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রচার-প্রচারণা এবং নিজেদের মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন নেতৃবৃন্দ।
চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক ৮টি জেলার (কুমিল্লা মহানগর, কুমিল্লা উত্তর, কুমিল্লা দক্ষিণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলা) দপ্তর ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর, উপদপ্তর সম্পাদকের এই সভা হয়।
আওয়ামী লীগের দপ্তর বিভাগ থেকে ধাপে ধাপে ৮টি বিভাগের জেলাসমূহের দপ্তর ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে এই সভার আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাজের ব্যবস্থাপনায় তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়েও আলোচনা করা হয় সভায়।
সভায় নেতারা বলেন, ‘২০০৮ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে করছেন। জাতির সামনে সময়োপযোগী রূপকল্প প্রণয়ন করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে আগামী প্রজন্মের জন্য সুরক্ষিত রাখতে শতবর্ষী প্ল্যান ডেল্টা প্ল্যান- ২১০০ ঘোষণা করেছেন।’
দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশকে আমাদের টেকসই করতে হবে। একই সঙ্গে পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ করে এগিয়ে যেতে হবে। দলের দপ্তর বিভাগ এক্ষেত্রে নিয়ামক ভূমিকা পালন করতে পারে।’
সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান। আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সি আর আই)-এর পক্ষ থেকে সভা পরিচালনায় কারিগরি সহায়তা দেওয়া হয়।
সি আর আই’র পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির কো-অর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটু ও ডাটাবেইজ টিমের সদস্য আদিত্য নন্দী সভায় সংযুক্ত ছিলেন।
সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের ৮টি জেলার সংযুক্ত দপ্তর ও উপদপ্তর সম্পাদকও বক্তব্য রাখেন। বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেকোনো প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।