নিজস্ব প্রতিবেদকঃ উত্তরখান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলায় আদালত কর্তৃক গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট থাকা সত্বেও থানা পুলিশ আসামী কামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, মোঃ এনামুল হাসান খান শহীদ (সিআইপি) গত ০২/০১/২০২১ ইং তারিখ রাজধানী ঢাকার উত্তরখান থানায় মোঃ কামাল উদ্দিনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন, মামলা নং— ০৩, —ধারা ২৬/২৯/৩৫ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮।
মামলায় উল্লেখিত প্রধান আসামী মোঃ কামাল উদ্দিন এর নামে গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট উত্তরখান থানা পুলিশের হাতে এসে পৌছালেও অদৃশ্য কারণে আসামী কামাল উদ্দিন ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছে বলে জানা যায়। মামলার বাদী মোঃ এনামুল হাসান খান শহীদ (সিআইপি) একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী, তাঁকে নিয়ে মামলার বিবাদী মোঃ কামাল উদ্দিন লোক সমাগমে ও জনসভায় মানহানীকর, আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে তা আবার ফেসবুক ও ইউটিউবে আপলোড করেছে। বাদী এনামুল হাসান খান শহীদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা বানোয়াট ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে তার লিংক সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও প্রচার করে তাকে চরম হেয় প্রতিপন্ন ও সম্মান হানির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রমি এ্যাগ্রো ফুডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান দানবীর এবং সমাজ সেবক এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিবাদী মোঃ কামাল উদ্দিনের এহেন কার্যালাপে এলাকার জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার স্থানীয় আপামোর জনসাধারণ, সুশীল সমাজের নেত্রীবৃন্দ ও রাজনিতীবিদদের দাবী হযরত শাহ্ কবীর (রহঃ) মাজার ওয়াকফ এষ্টেটের কোটি কোটি টাকা আত্নসাতকারী ভূমীদস্যু মোঃ কামাল উদ্দিনকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন । সূত্রে জনা যায় গত ২/০১/২০২১ ইং তারিখ মোঃ এনামুল হাসান খান শহীদ বিবাদী মোঃ কামাল উদ্দিন, পিতা মোঃ রোকন উদ্দিনের নামে উত্তরখান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ একটি মামলা রুজু করেন।
এই মামলাটি পরবর্তীতে যাচাই বাছাই করে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করার পর আদালত উক্ত মামলার ঘটনার সত্যতা পেয়ে গত ১৬/০৯/২০২১ ইং তারিখ কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। বর্তমান আইনে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোন তথ্য উপাত্ত দেশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুন্ন করলে, জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা ব্লক বা অপসারণের জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারে। সে সব ক্ষেত্রে পুলিশ পরোয়ানা ও অনুমোদন ছাড়াই তল্লাশি, জব্দ এবং গ্রেফতার করতে পারবে। অথচ উত্তরখান থানায় গত ০২/০১/২০২১ ইং তারিখ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও থানা পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার না করে নানান তালবাহানা দিয়ে দীর্ঘ সময় নিরব ভূমিকা পালন করেছেন। ফলে বাদী পক্ষ ব্যবসায়িক ও সামাজিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছেন।
গত ১৬/০৯/২০২১ আদালত কতৃক ইস্যুকৃত গ্রেফতারী ওয়ারেন্টের কপি উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জের নিকট এসে পৌছালেও কি কারণে তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না এ বিষয় উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মজিদের মুঠোফোন ০১৩২০০৪১৯২৯ এই নাম্বারে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায় নি।
সূত্রে আরো জানা যায় কামাল উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে প্রতারনা মূলক ভাবে জাল জালিয়াতি, টাকা ও জমি অত্নসাৎ এবং ভয় ভীতি প্রদর্শন করার অপরাধে গত ৩০ মার্চ ২০২১ ইং তারিখ মোঃ সফিকুল ইসলাম পিতা মোঃ আব্দুল জলিল একটি মামলা করেন যহার স্বারক নং ২৯৭। কামাল উদ্দিনের এসব অপকর্ম ও অনিয়মের ঘটনায় গত এক বছরে প্রায় অর্ধশত জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আদালত কতৃক একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মোঃ কামাল উদ্দিন কিভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে বীরদর্পে এলাকায় চলাফেরা করলেও কেন তাকে গ্রেফতার করছে থানা পুলিশ এ বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন মামলার বাদী ও উত্তরখানের স্থানীয় এলাকাবাসী।