সুরমা নদীর পানিতে এবারের বন্যায় সিলেট নগরীর ১১টি ওয়ার্ড তলিয়ে যায়। তবে সিলেট নগরী থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও বানভাসিদের পিছু ছাড়ছে না দুর্ভোগ। এখন দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগবালাই। পচা ও জমাট বাঁধা পানি ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
সিলেট নগরীর তোপখানা এলাকার দুই নম্বর গলির বাসিন্দা ইদ্রিস আলী। ২০০৪ সালের বন্যায় পচা পানি লেগে বাম পায়ে গ্যাংরিন রোগে আক্রান্ত হলে হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয় তার পা। আর ২০১৭ সালের বন্যার সময় কাটা পড়ে ডান পা। আর এবার সর্বগ্রাসী বন্যার পচা পানি লেগে ফের দুই হাঁটুর ওপর শুরু হয়েছে চুলকানি।
প্রায় সপ্তাহখানেকের বন্যায় সিলেট নগরীর অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে থাকার পর পানি নামছে। এখন দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগবালাই। তবে এমন শঙ্কা থেকে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানান সিলেট সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘যে ওয়ার্ডগুলো বন্যায় তলিয়ে গেছে, সেখানে নিয়মিত আমাদের মেডিকেল দল থাকবে। আমরা পানি জীবাণুমুক্ত করার কাজ করেছি। তবে বিশুদ্ধ পানি পান করলে রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের যে প্রজেক্ট আছে, সেখানে স্লুইসগেট নির্মাণ এবং পাম্পের কার্যক্রমটা আমরা এখনো যুক্ত করতে পারিনি। তবে এর একটা প্রকল্প আমরা তৈরি করছি।’