সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

পদ্মা সেতুর খবরে কলকাতাতেও খুশির ঢল

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২
  • ১৩৩ বার পঠিত

পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। আর এই সেতু নিয়ে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার হোটেলপাড়া খ্যাত নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরাও।

ঢাকা থেকে কলকাতা পৌঁছাতে বাসে সময় লাগে প্রায় ১২ ঘণ্টা। এর মধ্যে শুধু দৌলতদিয়া ফেরি পারাপারেই সময় চলে যায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা। সেই সঙ্গে আছে ঘাট এলাকার যানজটের দুর্ভোগ। প্রতিদিন গড়ে ঢাকা-কলকাতা রুটে চলাচল করে ছয়টি পরিবহনের ৩০টি যাত্রীবাহী বাস। এসব যানবাহনে প্রতিদিন গড়ে যাতায়াত করেন প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি ও ভারতীয় পর্যটক।

মূলত বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভর করেই এত দিন টিকে ছিল কলকাতার নিউমার্কেট, সদর স্ট্রিট, পার্ক-স্ট্রিটসহ বাংলাদেশি হোটেলপাড়া খ্যাত বিভিন্ন এলাকার অর্থনীতি। এবার পদ্মার সেতুর কারণে সেই অর্থনীতি আরও চাঙা হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন কলকাতার ব্যবসায়ীরা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের পাশাপাশি এই সেতু ভারতের অর্থনীতিতেও বড়সড় প্রভাব ফেলবে বলে মত তাদের।

সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কলকাতার বিশিষ্টজনদেরও মুখেও শোনা গেছে পদ্মা সেতু নিয়ে আশাজাগানিয়া কথা।

বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ছয় থেকে সাত হাজার বাংলাদেশি পর্যটক ভারতে প্রবেশ করেন। যাদের মধ্যে ৭০ শতাংশই থাকেন কলকাতায়। পদ্মা সেতু চালু হলে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে যাতায়াতে সময় বাঁচবে প্রায় ৪ ঘণ্টা। এমনটা হলে কলকাতায় আসা বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যাও দ্বিগুণ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু আগামী ২৫ জুন যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। পদ্মা সেতু দেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে।

দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়কপথ এবং নিচের স্তরটিতে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান ইতোমধ্যে বসানো হয়েছে। ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় এ সেতু।

পদ্মা সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ হচ্ছে স্বপ্নের এ সেতু। ২০১৪ সালে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com