প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরো ৬৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা দুই শতাধিক বেড়েছে। এতে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৬৩ লাখ ৫১ হাজার ৭৮১ জনে পৌঁছেছে।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি বেড়েছে। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫৪ কোটি ৯৫ লাখ ৩৯ হাজার ২৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসের শুরু থেকে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে মঙ্গলবার সকালের দিকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানি ঘটেছে ব্রাজিলে। লাতিন আমেরিকার এই দেশটি করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪৭ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৮ হাজার ২৭৮ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ২১ লাখ ৩৬ হাজার ৯১৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার ৬০৬ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৮৮৩ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৮৮ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৪০ হাজার ৯৮১ জন মারা গেছেন।
ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৭৪৭ জন এবং মারা গেছেন ৬৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮২ লাখ ৫৯ হাজার ২৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৮ হাজার ১৬৫ জন মারা গেছেন।
এছাড়া রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫১ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৬৮৩ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার ৫৬৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৪৩ জনের।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।