ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগামী ২ জুলাই থেকে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এ সিরিজকে সামনে রেখে প্রস্তুতিও নিচ্ছে টাইগাররা। শিষ্যদের নিয়ে নানা ধরনের কাজ করছেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) তিনি জানালেন, উইন্ডিজের বিপক্ষে জেতার জন্য খুব বেশি রান না হলেও চলবে। কারণ বাংলাদেশের বোলিং বিভাগ অনেক শক্ত।
এক ভিডিও বার্তায় সিডন্স বলেন, ‘আমাদের বোলিং বিভাগ খুব ভালো। আমার মনে হয় না, আমাদের অনেক বেশি রান করতে হবে। বোর্ডে একটা ভালো সংগ্রহ হলেই হবে। এজন্য সিঙ্গেল অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে পাওয়ার হিটিং অবশ্যই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতায়। যত বেশি বাউন্ডারি, তত বেশি ম্যাচ জেতা যায়। তবে আমাদের অনেক বেশি চার মারতে হবে। আমরা যদি অনেক চার মারতে পারি, অনেক সিঙ্গেল নিতে পারি, পাশাপাশি কিছু ছক্কা হাঁকালেই আমরা বোর্ডে ভালো স্কোর দিতে পারবো। এরপর আমাদের বোলিং আক্রমণ বাকিটা সামলে নিতে পারবে।’
বাংলাদেশি ব্যাটারদের পাওয়ার হিটিং ক্ষমতা নিয়ে কাজ করছেন সিডন্স। যদিও সেটা দ্রুত সম্ভব নয় বলে জানালেন তিনি। এ সম্পর্কে এ ব্যাটিং কোচ বলেন, ‘এখানে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) আসার পর পাঁচটা সেশন কাজ করতে পেরেছি। আর ম্যাচের প্রস্তুতির সময় পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করতে গেলে ব্যাটাররা সেটি নিতে পারবে না। হয়তো নতুন টেকনিক শেখাতে হবে বা টেকনিকে বদল আনতে হবে। এসব কাজ খেলা চলাকালীন করলে তাদেরই সমস্যা হবে। পাওয়ায় হিটিংয়ের জন্য খেলার দক্ষতা বাড়াতে পর্যাপ্ত ট্রেনিং প্রয়োজন, রাতারাতি পাওয়ার হিটার বানানো যায় না। সময় লাগে।’
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ক্যারিবীয়ানদের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। টেস্টে হারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে আশাবাদী টাইগারদের এ কোচ। তিনি বলেন, ‘টেস্ট ম্যাচগুলো খুব ভালো যায়নি আমাদের। তবে আমি এখন টি-টোয়েন্টির দিকে ফোকাস করছি। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর দল খুব বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেনি। আমাদের দারুণ কিছু খেলোয়াড় আছে। দেখা যাক, পরের তিন টি-টোয়েন্টি কেমন হয়।’
সিডন্স আরও বলেন, ‘আমাদের টি-টোয়েন্টি দলে বেশ কয়েকজন নতুন খেলোয়াড় আছে। আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার জন্য বা বিশ্বকাপে ভালো খেলার জন্য একটি ভালো টি-টোয়েন্টি দল গড়ার চেষ্টা করছি। এছাড়া এশিয়া কাপও রয়েছে। এখানে তিনটি ম্যাচ, এশিয়া কাপেও কিছু ম্যাচ পাব। বিশ্বকাপের জন্য আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত হতে পারব।’