দাবদাহে পর্তুগালে এক হাজার ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ অবস্থায় সবাইকে প্রচুর পানি ও তরলজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এদিকে এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে দেশটির দাবানল পরিস্থিতি। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৫০ হাজার হেক্টরের বেশি এলাকা।
এখনো পুড়ছে পর্তুগালের একের পর এক এলাকা। বিস্তৃত বনভূমি, কৃষিজমি এমনকি বাড়িঘর সব পুড়ে ছাই। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দমকল বাহিনীর কয়েক হাজার কর্মী। তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে নতুন নতুন বনাঞ্চল গ্রাস করে চলেছে আগুনের লেলিহান শিখা।
দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহ আর শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে দমকল বাহিনীর কর্মীদের। লোকালয়ের খুব কাছে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় এরই মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে কয়েক হাজার বাসিন্দাকে।
চলমান তাপপ্রবাহের প্রভাবে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর দিয়েছে পর্তুগালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যাদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশনসহ বিভিন্ন গরমজনিত কারণ দায়ী বলে জানান চিকিৎসকরা।
ফলে সবাইকে রোদ এড়িয়ে চলার পাশাপাশি প্রচুর পানি পান ও বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পর্তুগালের মূল ভূখণ্ডের ৯টি জেলায় এখনো হলুদ সতর্কতা জারি রেখেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, তীব্র দাবদাহে ইউরোপে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ফ্রান্সে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত জনজীবন। দাবদাহের পাশাপাশি দাবানলের আগুনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এরই মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে দেশটির ২০ হাজার হেক্টর বনভূমি।