সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘আশীর্বাদ’ নামে একটি ছবির কো-প্রযোজক জেনিফার ছবিটির নায়িকা মাহিয়া মাহির নামে শুটিংয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ আনেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে প্রডাকশনের ছেলের নায়িকাকে তেল দিতে দেরি হওয়ায় তাকে বাদ না দিলে মাহি শুটিং করবে না বলে জানান। পরে প্রযোজক বাধ্য হয় ছেলেটিকে বাদ দেন।
প্রযোজকের এমন অভিযোগের বিপরীতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বললেন, ঘটনাটা আসলে এমন না। এটা বিকৃত করে বলা হচ্ছে। আসল ঘটনা জানলে সবাই প্রযোজজের দিকেই আঙ্গুল তুলবে। তবে আমি প্রযোজককে সম্মান করি। একটা ছবি শুধু প্রযোজকের একার না। এটা আমাদেরও ছবি। আশীর্বাদ ছবিটি সরকারি অনুদানের ছবি। তাই আর্টিস্টরা অনেক কম পারিশ্রমিক নিয়েছি। কিন্তু সেই তুলনায় আমরা সম্মান পাইনি।
মাহি আরো বলেন, এই ছবির নির্মাতা মানিক ভাই একজন ভালো মানুষ। তার প্রতি যথেষ্ট সম্মান ও শ্রদ্ধা রয়েছে। তিনি সব কিছু জানেন শুটিংয়ে কি হয়েছে। সে যদি বলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো সত্য তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই। মাথা পেতে নেবো সব।
২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ছবি ‘আশীর্বা’দ। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। আগামী ১৯ আগস্ট ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা। এই মুক্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেই সংবাদ সম্মেলনে ছবির নায়ক ও নায়িকা কাউকেই বলেননি প্রযোজক। কেনো বলেননি সেটার কারণ জানেন না মাহি। নায়িকার ভাষ্য, একটি সিনেমা আমার সন্তানের মত, অথচ আমার চোখের সামনে সেই সন্তানটি মারা যাচ্ছে বিষয়টি আমাদেরও তো খারাপ লাগে।
ছবিটি নির্মাণের জন্য ৬০ম লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন প্রযোজক। ছবিটি নির্মাতা মানিক নির্মাণ করবেন বলে এটা নিয়ে বাড়তি আগ্রহের জায়গা ছিলো মাহির। মাহি বলেন, এই ছবিটা আমাদের স্বপ্নের সিনেমা ছিলো। কিন্তু সব কিছুই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সাইনিংয়ের প্রথম দিনেই আমাদের শর্ত দেয়া হয় প্রযোজক ছাড়া কোন ছবি ফেসবুকে দেয়া যাবে না। এটা কেমন নিয়ম। এতগুলা সিনেমা করেছি কখনো এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি।
এদিকে ছবির নায়ক জিয়াউর রোশানও প্রযোজকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনেন। নায়কের ভাষ্য, উনি অপেশাদার প্রযোজক, শুটিংয়ে খাবার ও পানিটাও তালা দিয়ে রাখতেন। ঠিকমতো খেতে দেননি।