স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বরেণ্য রাজনীতিবিদ শওকত আলী ছিলেন বহুবিধ প্রতিভার অধিকারী, বারবার নির্বাচিত শরীয়তপুরের প্রাণপুরুষ। তিনি ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের প্রতি একাত্ম ছিলেন। তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে কর্নেল শওকত অমর হয়ে থাকবেন।’
বুধবার সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের এলডি হলে জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব) শওকত আলীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি কর্নেল শওকতকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, কর্নেল শওকত সারাজীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি সংসার, চাকরিজনিত বাধ্যবাধকতা সবকিছু তুচ্ছ করে দেশকে প্রাধান্য দিয়েছেন। কর্নেল শওকত ডেপুটি স্পিকার এবং বিভিন্ন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
স্পিকার বলেন, দেশের জন্য কর্নেল শওকতের ত্যাগ ও সংগ্রামী জীবনের শিক্ষা আগামী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে। এ সময় তিনি কর্নেল শওকতের সহধর্মিণী মাজেদা শওকতকে কর্নেল শওকতের জীবনী প্রকাশ করার অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং জাতীয় বীর কর্নেল শওকত আলী স্মৃতি পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদের সভাপতিত্বে জীবন বৃত্তান্ত পাঠ করেন মেরিনা শওকত আলী। এ স্মরণ সভায় জাতীয় বীর কর্নেল শওকত আলী স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্টা মাজেদা শওকত আলী, আওয়ামী প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী, শওকত আলীর দৌহিত্র হৃদয় শওকত আলী, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. হাসানুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এমপি, আরমা দত্ত এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক মেজর (অব.) শামসুল আরেফিন।
সভায় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা বিশিষ্ট সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, কর্নেল শওকত আলীর পরিবারের সদস্য, জাতীয় সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতারা, আমন্ত্রিত অতিথি, বিভিন্ন ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।