সম্পর্কে জল্পনা শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে তাদের একটি বিজ্ঞাপন সামনে আসার পর থেকেই। মাঝেমধ্যেই মাঠের গ্যালারিতে উপস্থিত থাকতে দেখা যেত আনুশকাকে। তবে যতটা সম্ভব তারা নিজেদের সম্পর্কের খবর গোপন রাখার চেষ্টাই করেছিলেন। শত চেষ্টা করেও যখন তা খুব একটা ঢেকে রাখা গেল না, তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুই স্টারকে নিয়ে নানান জল্পনা। যদি এই সম্পর্ক নিয়ে আনুশকা কিংবা বিরাট প্রকাশ্যে কখনোই মুখ খুলতে চাননি। সরাসরি বিয়ের খবর নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তারা। তবে পরে প্রেমকাহিনি একাধিকবার তাদের মুখ থেকে শোনা গিয়েছিল।
কীভাবে আলাপ হয় প্রথমে তাদের। এক সাক্ষাৎকারে খোদ আনুশকা শর্মা জানিয়েছিলেন, ২০১৩ -তে একটি বিজ্ঞাপন শুটিংয়ের সময় প্রথম একসঙ্গে দেখা হওয়ার কথা ছিল তাদের। অনুশকার ধারণা ছিল, বিরাট ভীষণ অহংকারী। তাই যাতে সে অনুশকাকে নিয়ন্ত্রণ না করে সেই ভয় তিনিও স্থির করেছিলেন, আরও এক ধাপ এগিয়ে তিনিও প্রমাণ করবেন তিনি বিরাটের থেকেও বেশি অহংকারী। এমন পরিকল্পনা করে সেটে উপস্থিত হয়েছিলেন আনুশকা শর্মা। তবে সামনে থেকে বিরাটকে দেখে অবাক হয়ে যান তিনি। বুদ্ধিদীপ্ত মজার মানুষ বিরাট। যেমনটা তিনি জেনেছিলেন বা শুনেছিলেন তার সঙ্গে বাস্তবে বিরাটের কোনো সম্পর্কই ছিল না।
ফলে মাত্র তিন দিনের মধ্যেই গাঢ় হয়ে যায় তাদের বন্ধুত্ব। তিন দিন পর অনুশকা শর্মার নতুন ফ্ল্যাটের গৃহপ্রবেশ ছিল। সেখানে বিভিন্ন অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত হন বিরাট। তবে সেখান থেকে খবর ফাঁস হওয়া বা সে খবর ছড়িয়ে পড়ে খবরের শিরোনাম হওয়া, কোনটাই হতে দেখা যায়নি। অনুশকা প্রথম যখন বিরাটকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন জানিয়েছিলেন, বিরাট তার ভালো বন্ধু, বিরাট তার পরিচিত তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া আছে। এর বাইরে বাকিটা তিনি রহস্যই রেখে দিয়েছিলেন।
বর্তমানে তাদের পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবন বেশ রঙিন। ২০২১ সালে তাদের পরিবারে আসে নতুন সদস্য ভামিকা। এই জুটি মধ্যে থাকা সম্পর্কে সমীকরণ কতটা মজবুত তা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মুহূর্তে ফ্রেমবন্দি হয়ে ভাইরাল হয়েছে নেটপাড়ায়।