সারা দেশে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। এ অবস্থায় সকালে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ বৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোর ছয়টার আগ থেকেই মেঘের গর্জন শোনা যায়। উষ্ণতার চাদর মুড়িয়ে মানুষ যখন ঘুমে মগ্ন, তখনই শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। যা পরে ভারি বৃষ্টিতে রূপ নেয়। বৃষ্টি চলে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা। তবে কত মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আবহাওয়ার ওয়েবসাইটেও এ বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য দেয়নি।
শীতের কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা এমনিতেই কম, তারওপর বৃষ্টির কারণে জবুথবু অবস্থা সবার। এমন অবস্থায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় ফুটপাতের বাসিন্দাদের। কুয়াশা ঘেরা শীতের সকালে নিম্ন আয়ের এ মানুষের কাছে যেন দানব হয়েই হানা দিয়েছিল বৃষ্টি।
এছাড়া সকালে অফিসগামী অধিকাংশ মানুষই বৃষ্টির কারণে বিড়ম্বনায় পড়েন। যারা বের হন তাদের কোনো প্রস্তুতি না থাকায় ভিজে ভিজেই গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। রাজধানীতে গণপরিবহনও কম চলতে দেখা গেছে।
কথা হয় আব্দুল করিম নামে একজনের সঙ্গে। তিনি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। রাজধানীর বাংলামোটরে তার অফিস। থাকেন নাখালপাড়ায়। বৃষ্টির সকালে অফিসের উদ্দেশে বের হয়ে বেশ বিপাকেই পড়তে হয় তাকে। জানালেন, বাসা থেকে বের হওয়ার পরই বৃষ্টি হয়। হঠাৎ বৃষ্টিতে কোনো প্রস্তুতি না থাকায় কিছুটা ভিজেই অফিসে আসতে হয়েছে তাকে।
এর আগে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। তাতে বলা হয়, আগামী ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টি এলে শীতের অনুভূতি আরও বাড়তে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।