১২ ডিসেম্বর রাত তখন ৯টা। রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। পরে রাত সোয়া ২টার দিকে বসতঘরের বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢোকেন হাবিল শেখ। ওই সময় হত্যার হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তার চিৎকারে বাবা-মা ঘরে এলে লোহার রড দিয়ে ওই কিশোরীর মায়ের হাতে আঘাত করে পালিয়ে যান হাবিল।
ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের ফকিরহাটে। এ ঘটনায় ফকিরহাট থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই মামলায় হাবিল শেখকে গ্রেফতার করে র্যাব। হাবিল ফকিরহাটের দেয়াপাড়া এলাকার আদম শেখের ছেলে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোশতাক আহমেদ।
র্যাব-৬ জানায়, মাদরাসা আসা-যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন হাবিল। এমনকি দিতেন নানা ধরনের কুপ্রস্তাব। তবে ওই ছাত্রী তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন তিনি। গত ১২ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে ওই ছাত্রী তার নিজ বাড়িতে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত সোয়া ২টার দিকে বসতঘরের বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢোকেন হাবিল শেখ। ওই সময় হত্যার হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তার চিৎকারে বাবা-মা ঘরে এলে লোহার রড দিয়ে ওই কিশোরীর মায়ের হাতে আঘাত করে পালিয়ে যান হাবিল। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান চালায়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোশতাক আহমেদ বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলার আলমডাঙ্গা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাবিল শেখকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তাকে ফকিরহাট থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন