একাদশ জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশন শুক্র ও শনিবার ব্যতীত ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে অধিবেশন শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কমিটির সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। কমিটি সদস্য এবং সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া, বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি, আমির হোসেন আমু এমপি, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, ওবায়দুল কাদের এমপি, রাশেদ খান মেনন এমপি, হাসানুল হক ইনু এমপি, ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু এমপি, আনিসুল হক এমপি, গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি।
এছাড়া বৈঠকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১০ জানুয়ারি বিশেষ আলোচনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জাতীয় সংসদের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে এপ্রিল ২০২৩-এ বিশেষ অধিবেশন হবে মর্মে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, এ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকের শুরুতে সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদের ২১তম ও ২০২৩ খ্রীস্টাব্দের প্রথম অধিবেশনের কার্যাদি নিষ্পন্নের জন্য সময় বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হয়।
এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৭৩টি ও অন্যান্য মন্ত্রীর জন্য ১ হাজার ৮৫৪টি প্রশ্নসহ মোট ১ হাজার ৯২৭টি প্রশ্ন পাওয়া গেছে, বিধি-৭১ এ মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশ পাওয়া গেছে ৩৪টি। বেসরকারি সদস্যদের বিলের কোন নোটিশ পাওয়া যায়নি। পূর্বে অনিষ্পন্ন ৮টি বেসরকারি বিলের মধ্যে গত সপ্তদশ অধিবেশনে ১টি বিল উত্থাপিত হয়ে কমিটিতে পরীক্ষাধীন রয়েছে। অধিবেশনে উত্থাপনের জন্য ৬টি সরকারি বিল ও গত অধিবেশনে অনিষ্পন্ন ১২টি বিলসহ ১৮টি বিলের মধ্যে কমিটিতে পরীক্ষাধীন ১১টি, পাসের অপেক্ষায় ১টি ও উত্থাপনের অপেক্ষায় ৬টি।
বৈঠকে সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম সঞ্চালনা করেন। এতে সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।