নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটি জয় দিয়ে শুরু হলো না বাংলাদেশের। এক শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান হারশিথা সামারাভিক্রমার বিপেক্ষই যেন হেরে গেল লাল-সবুজের দল। জয়ের সুযোগ তৈরি করেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশের মেয়েরা।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের মেয়েরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান করে লাল-সবুজের দল। জবাবে ১৮.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।
১২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ধীর গতিতে রান তোলা শুরু করেন লঙ্কান দুই ওপেনার হারশিথা সামারাভিক্রমা ও চামারি আতাপাত্তু। বাংলাদেশি পেসার জাহানারা আলম প্রথম ওভারে দেন মাত্র ৩ রান। তবে দ্বিতীয় ওভারে হাত খোলার চেষ্টা করেন চামারি। তিনি সালমা খাতুনকে পরপর দুটি বলে চার মারেন।
দলীয় ১৭ রানে শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। ৩.৩ ওভারে মারুফা আক্তারের বলে লতা মণ্ডলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন চামারি আতাপাত্তু। ১৭ বলে ১৫ রান করেন চামারি। ষষ্ঠ ওভারে বল করতে এসে জোড়া উইকেট পান মারুফা। এবার তিনি লঙ্কান ব্যাটসম্যান ভিষ্ণী গুনারত্নে ও আনুস্কা সঞ্জিবনীকে আউট করেন। ২৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা।
তবে এই চাপ থেকে দলকে উদ্ধার করার জন্য একাই লড়ে যান ওপেনার হারশিথা সামারাভিক্রমা। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন নিলাক্ষি ডি সিলভা। অবশ্য ১১.২ ওভারে আউট হয়েও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান হারশিথা।
রিতু মনির বলে রিভার সুইপ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন লঙ্কান ওপেনার। তখন এলবিডব্লিউর আবেদন করে বাংলাদেশ। সঙ্গে সঙ্গে সেই আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার আনা ইয়োলান্ডা হ্যারিস। কিন্তু রিভিউ নিলে দেখা যায় বলটি উইকেটের লাইন মিস করেছে। তাতে অপরাজিত থাকেন হারশিথা।
বেঁচে ফিরে ঠান্ডা মাথায় খেলতে শুরু করেন হারশিথা এবং নিলাক্ষি। এ দিন বেশ কয়েকবার মিস ফিল্ডিংয়ের কারণে শ্রীলঙ্কার ইনিংস ধীরে ধীরে জয়ের বন্দরে নোঙর করে। ১৫তম ওভারের শেষ বলে স্ট্যাম্পিংয়ের সুযোগ নষ্ট করেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক শামিমা সুলতানা। সে সময়ে ৪৫ রানে ব্যাট করছিলেন হারশিথা। সহজ সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে হয়তো ম্যাচের ভাগ্য অন্যরকম হতে পারতো।
কিন্তু বাংলাদেশকে আর ম্যাচে ফেরার সুযোগ না দিয়ে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। ৭৯ বল থেকে অপরাজিত ১০৪ রান করেন হারশিথা-নিলাক্ষি জুটি। শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ৬৯ রানে হারশিথা ও ৩৮ বলে ৪১ রানে লিলাক্ষি অপরাজিত থাকেন।