কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কে প্রায় ঘটে থাকে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। তিন চাকার গাড়ির বেপরোয়া গতিই দুর্ঘটনার প্রধান মাধ্যম বলে জানায় কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগ। শহরে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, পর্যটক ও স্থানীয়দের কথা বিবেচনায় নিয়ে তিন চাকার গাড়ির অবৈধ বাম্পারগুলো উঠিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা ট্রাফিক পুলিশ। এতে চালকরা সচেতনভাবে ও সীমিত গতিতে গাড়ি চালাবে। ফলে কমে আসবে দুর্ঘটনা।
সম্প্রতি কক্সবাজার শহরে ঘটে যাওয়া কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে জানা গেছে- সড়কগুলো প্রশস্ত ও বেশ বড়সড় হওয়ায় অটো, টমটম ও ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো অতিরিক্ত গতিতে চলাফেরা করছে। এই বেপরোয়া গতির কারণে অনেক সময় নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। প্রায় প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক মানুষকে অসময়ে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে।
তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ও নিরাপদ সড়ক কর্মসূচির আওতায় ছোট যানবাহনের অবৈধ বাম্পারগুলো খুলে ফেলার সাঁড়াশি উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ কক্সবাজার। এরই অংশ হিসেবে বুধবার বিকেলে কক্সবাজার শহরের জাম্বুর মোড় ও লাবনী চৌরাস্তা এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ চেকপোস্ট করে সিএনজি ও টমটম এর বাম্পারে রং দিয়ে চিহ্নিত করে চালকদের অবৈধ বাম্পার খুলে ফেলার নির্দেশনা দিয়ে এই প্রচার অভিযান চালানো হয়।
কক্সবাজার জেলা ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, কক্সবাজার শহরের সড়কের প্রস্থ অনেক বড় হয়েছে। রাস্তা ভালো হয়েছে। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা কমছে না। এখানে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা (টমটম) এর অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়া গতি।
ছোট যাববাহনের বেপরোয়া গতি কমাতে গাড়ির বাম্পার সরিয়ে নিতে চালকদের বোঝানোর জন্য এই অভিযান চালাচ্ছি। গতকাল প্রথমদিনে লাল রং দিয়ে বিশেষ চিহ্ন দিয়ে দিচ্ছি। যদি আগামী দুইদিনের মধ্যে তারা বাম্পার না খুলে, তবে চিহ্ন দেখে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। নিরাপদ সড়ক আইন ও ট্রাফিক আইনসহ নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভবিষ্যতে জেলায় এ রকম আরো কার্যক্রম চলমান থাকবে।