বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সরকারের অব্যাহত সহায়তার বিকল্প নেই : বিজিএমইএ সভাপতি

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩
  • ১১৬ বার পঠিত

 নিজস্ব প্রতিবেদক:  বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, বেসরকারিখাতে সর্ববৃহৎ কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী পোশাকশিল্পের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বর্তমান সরকারের অব্যাহত সহায়তার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি জানান, আমাদের পোশাকশিল্পখাত বর্তমানে নানা চাপের কারণে চাপের মধ্যে নাজুক অবস্হায় আছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, সে তুলনায় পণ্যের দাম বাড়েনি। করোনায় সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়েছিল। রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব প্রণোদনা আছে, তা আরও বাড়ানো দরকার। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সুপারিশগুলো আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে প্রতিফলিত হবে। বিজিএমইএ সভাপতি জানিয়েছে, আগামী ৫ বছর উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ রাখার দাবি জানিয়ে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সরকারের কাছে নন-কটন পোশাক রপ্তানির উপর ১০ শতাংশ (রপ্তানি মূল্যের) হারে বিশেষ প্রণোদনা প্রদান এবং রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ কার্যকরের নীতি সহায়তা তাদেরকে দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২ টায় রাজধানীর উত্তরা ১৭ নং সেক্টর প্লট # ৭/৭এ, ব্লক # এইচ-১, বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের ৫ম তলা মিলনায়তনে ‘পোশাকশিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি’ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বিজিএমইএ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকন এস, এম মান্নান কচিসহ বিজিএমইএ পর্ষদ সদস্য ছাড়াও অন্য উদ্যোক্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান লিখিত বক্তব্যে বলেন, সরকার অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে অর্থনীতিকে পরিচালনা করছে, যার প্রশংসা আন্তর্জাতিকভাবে আমরা পাচ্ছি। তবে, বৈশ্বিক সংকটকে আমরা পাশ কাটাতে পারব না, বরং কীভাবে আমরা আমাদের অর্থনীতিকে কিছুটা সুরক্ষিত রাখতে পারি, সেটিই হবে আমাদের কৌশল।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে যেখানে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা ছিল ৪৮.০৬ বিলিয়ন ডলার, এখন তা কমে ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ২০২০-২১ এ আমাদের রপ্তানি ছিল ৩১ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার, সেটি ২০২১-২২ অর্থবছরে বেড়ে ৪২.৬১ বিলিয়ন ডলার হয়। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে আমরা ৩৮.৫৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছি, যা আগের বছর থেকে ৯ শতাংশ বেশি। তার মানে, আমরা রপ্তানি খাত থেকে ধারাবাহিকভাবে আয় বাড়ানোর পরও রিজার্ভের ওপর থেকে চাপ কমানো যাচ্ছে না।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নন-কটন পণ্যের বৈশ্বিক বাজার এবং আমাদের রপ্তানি সম্ভাব্যতা বিবেচনায় নিয়ে এ খাতে বিনিয়োগ ও রপ্তানিতে উৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে নন-কটন পোশাক রপ্তানির ওপর ১০ শতাংশ (রপ্তানি মুল্যের) হারে বিশেষ প্রণোদনা দিতে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন।

ফারুক হাসান বলেন, এ বিশেষ প্রণোদনা পাওয়া গেলে রপ্তানি যেমন বাড়বে, নতুন বিনিয়োগও আসবে, বাড়বে কর্মসংস্থান। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেবাখাতে ব্যাপক সুযোগ তৈরি হবে। সর্বোপরি সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ রাজস্ব আহরণের পরিমাণ ও পর্যায়ক্রমে বাড়বে। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের মতো দশমিক ৫০ শতাংশ করে আগামী পাঁচ বহর পর্যন্ত কার্যকর করতে হবে। এটা করা হলে উদ্যাক্তারা মধ্য মেয়াদি ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা করতে পারবেন। বিবিধ খরচ অগ্রহণযোগ্য হিসেবে গণ্য করে স্বাভাবিক হারে (৩০ শতাংশ) কর আরোপ না করে করপোরেট কর হার ১২ শতাংশ হারে আরোপের দাবি জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, যখন রেমিট্যান্স ও রপ্তানি নেগেটিভ ধারায় প্রবেশ করল তখন রিজার্ভের উপর চাপ কমাতে আমাদের অ্যাগ্রেসিভ কৌশল নিতে হবে। এক্সচেঞ্জ রেট স্থিতিশীল রাখা, বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারসাম্য ধরে রাখা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সার্বিকভাবে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির ধারা সুরক্ষিত রাখতে আমাদের রপ্তানিখাত গুলো, বিশেষ করে তৈরি পোশাকখাতের সুরক্ষা এবং রপ্তানি বাড়ানোর সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোতে আরও সংবেদনশীল হওয়া ও গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।

আসন্ন বাজেটে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য পরিশোধিত ফি থেকে উৎসে আয়কর কর্তনের হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দাবি জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, একইভাবে আমরা তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারের দাবি জানাই। তিনি বলেন, যেহেতু নগদ সহায়তা কোনো ব্যবসায়িক আয় নয়, তাই নগদ সহায়তার অর্থকে করের আওতার বাইরে রাখাই যুক্তিসঙ্গত।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, যখন রেমিট্যান্স ও রপ্তানি নেগেটিভ ধারায় প্রবেশ করল তখন রিজার্ভের উপর চাপ কমাতে আমাদের অ্যাগ্রেসিভ কৌশল নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, এক্সচেঞ্জ রেট স্থিতিশীল রাখা, বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারসাম্য ধরে রাখা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সার্বিকভাবে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির ধারা সুরক্ষিত রাখতে আমাদের রপ্তানিখাতগুলো, বিশেষ করে তৈরি পোশাকখাতের সুরক্ষা এবং রপ্তানি বাড়ানোর সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোতে আরও সংবেদনশীল হওয়া ও গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com