নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলায় মা মধুমালা বেগমকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ফতুল্লা রেলস্টেশনের উকিলবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই অভিযুক্ত ছেলে সুমনকে বটিসহ আটক করেছে ফতুল্লা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা করেছেন নিহত মধুমালার স্বামী নুরুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী মিলন জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিৎকার শুনে বের হয়ে দেখতে পান রাস্তায় পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত মধুমালা বেগম। পাশেই দাঁড়িয়ে আছে নিহতের ছেলে-স্বামী।
তিনি আরো বলেন, ছেলেটি মাদকাসক্ত ছিল। হয়তো মাদকের টাকা চেয়ে না পেয়ে মায়ের সঙ্গে ঘরে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বটি নিয়ে ধাওয়া করে মাকে রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে সুমন।
নিহতের স্বামী নুরুল ইসলাম বলেন, পরিবার নিয়ে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর রেলস্টেশন উকিলবাড়ী মোড় এলাকায় কামরুন নাহারের বাড়িতে ভাড়া থাকি। বাড়ির কাছে আমার ভাতের হোটেল আছে। আমরা স্বামী-স্ত্রী ওই হোটেল চালাই। আমার দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে সুমন দ্বিতীয়। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় সুমনকে তার স্ত্রী তালাক দিয়ে দুই কন্যাসন্তানসহ বাবার বাড়ি চলে যায়।
এরপর ৬ বছর আগে সুমনকে বিদেশে (ইরাক) পাঠানো হয়। সেখানে দুই মাস থেকে দেশে চলে আসে। রাতে হোটেল থেকে বাসায় ফেরার পথে দেখতে পাই সুমন ঘর থেকে বটি নিয়ে এসে রাস্তায় তার মাকে এলোপাথারী কুপিয়ে মুখ, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেছে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মধুমালা। এরপর সুমন বটি হাতে নিয়ে ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সুমনকে ঘর থেকে বটিসহ গ্রেফতার এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম বলেন, মাকে খুনে অভিযোগে ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলেকে ভারসাম্যহীন বলা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।