ত্রয়োদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপের উত্তেজনা শেষ হয়েছে। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের রেশ কাটতে না কাটতেই ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে শুরু হয়ে গেছে মাথাব্যথা। কারণ আয়োজক যে পাকিস্তান। যতই তাদের দেশে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, টি-২০ লিগ, ঘরোয়া ক্রিকেট নির্বিঘ্নে আয়োজন করা হোক, বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্ট নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।
সর্বশেষ এশিয়া কাপ এককভাবে পাকিস্তানের আয়োজনের কথা থাকলেও নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত প্রতিবেশী দেশে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইব্রিড মডেলে শ্রীলংকা-পাকিস্তানে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছে। ১৩ ম্যাচের ৪ ম্যাচ হয়েছে পাকিস্তানে এবং ৯ ম্যাচ হয়েছে শ্রীলংকায়। পাকিস্তানে একটা ম্যাচও খেলেনি ভারত।
একই রকম ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ক্ষেত্রেও। ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, পাকিস্তান থেকে সরে যেতে পারে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
যেখানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ক্রিকেটারদের পাকিস্তানে না পাঠানোর সিদ্ধান্তে এখনো অনড়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) আশঙ্কা, ২০২৩ এশিয়া কাপের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) এক সূত্র বলেছে, ‘পিসিবি কর্মকর্তারা আলোচনা করেছেন যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) তাদের দল পাকিস্তানে পাঠাতে অস্বীকার করতে পারে। তারা (পিসিবি কর্মকর্তা) স্পষ্ট জানিয়েছেন যে পরিস্থিতি যেমনই হোক, আইসিসি যাতে একতরফা কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়।’
২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও হাইব্রিড মডেলে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ‘বিকল্প ভেন্যু’ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম শোনা যাচ্ছে। পাকিস্তানে ভারতীয় ক্রিকেট দল তাদের ম্যাচগুলো না খেলে আমিরাতে খেলতে পারে। এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাতে এককভাবেও হতে পারে আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হয়েছিল। লন্ডনের ওভালে ফাইনালে ভারতকে ১৮০ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতে পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তান প্রথমবার উঠেছিল ২০১৭ সালেই।