নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিচার বিভাগ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যের ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি ভবিষ্যতে বিচার বিভাগ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন বলে লিখিত আবেদনে বলেছেন।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে আদালত জানান, এ বিষয়ে এক সপ্তাহ পর আদেশ দেওয়া হবে।
আদালতে আলালের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
এর আগে আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আজ ১৪ মে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না-তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে বিচার বিভাগ নিয়ে আলালের প্রকাশিত একটি বক্তব্য সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসের মাধ্যমে হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। এরপর বিষয়টি আমলে নিয়ে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২৯ এপ্রিল স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন। ওই আদেশের লিখিত অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গত ২৫ এপ্রিল ইউটিউবে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের প্রকাশিত একটি ভিডিও ক্লিপ প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করেন। পরে প্রধান বিচারপতির আদেশ অনুযায়ী বিষয়টি এই বেঞ্চে উত্থাপন করা হয়। আদেশে আরও বলা হয়েছে, আমরা ভিডিওটি পর্যালোচনা করেছি। ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তাতে আদালত অবমাননার প্রাথমিক উপাদান রয়েছে। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল তার বক্তব্যের মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের এবং সমস্ত বিচার বিভাগকে অবমাননা করেছেন। আদালত মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে আদালদ অবমাননার রুল জারি করেন। রুলে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ কেন আনা হবে না এবং আদালত অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত বক্তব্যের লিংকটি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।