লাইফস্টাইল ডেস্কঃ যদিও ফ্রিজ এখন আমাদের জীবনযাপনের অনেক বেশি প্রয়োজনীয় অংশ হয়ে গেছে, তবু এমন অনেক বাড়ি আছে যেখানে ফ্রিজ নেই। এই গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খেলে প্রাণ জুড়িয়ে আসে যেন। তবে বিশেষজ্ঞরা আবার ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করতে নিষেধ করেন। কারণ এই পানি পান করলে ঠান্ডা লাগার সমস্যার পাশাপাশি ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। চলুন জেনে নিই উপায়গুলো-
ঠান্ডা পানির বালতিতে বোতল রাখাঃঅনেকেরই হয়তো এই কৌশলটি জানা আছে। আসলে ঠান্ডা পানির বালতিতে রাখলেও একটা সময় পর সেই পানি গরম হয়ে আসে। ফলে তাতে রাখা পানির বোতল বেশিক্ষণ ঠান্ডা থাকে না। তাই একটি বালতিতে সাধারণ ঠান্ডা পানি নিয়ে তাতে ছোট এক বাটি লবণ মিশিয়ে নিন। এবার এতে পানির বোতল রাখুন। ওপর থেকে কাপড় ভিজিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। দেখবেন বহুক্ষণ জল ঠান্ডা থাকবে।
ভেজা কাপড় দিয়ে বোতল মুড়ে রাখাঃ আগেকার দিনে যেসব বাড়িতে ফ্রিজ ছিল না তারা পানি ঠান্ডা রাখার জন্য ভেজা কাপড় দিয়ে পানির বোতল ঢেকে রাখতেন। এতে পানি অনেক সময় ধরে ঠান্ডা থাকতো। আসলে এর সবটাই বিজ্ঞান। যখন একটি তরল গ্যাসে পরিণত হয় তখন তার রূপান্তর হওয়ার জন্য অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয়। এই প্রক্রিয়ায় সাহায্য করার জন্য, এটি শক্তির নিকটতম উৎসগুলি সন্ধান করে। আপনি যদি একটি পানির বোতলের ওপর ভেজা কাপড় ঢেকে রাখেন তবে এটি শক্তি হিসাবে ব্যবহার করার জন্য সেই ভেজা কাপড়ের থেকে তাপ বের করবে। এই তাপ নিষ্কাশন যা জলের বোতলকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। জলের বোতল ভেজা কাপড় দিয়ে মুড়ে রাখলে মাঝে মাঝে তা ভিজিয়ে পুনরায় মুড়ে রাখবেন।
রাতের বেলায় বাইরে পানির বোতল রেখে দেওয়াঃ গ্রাম বাংলার অনেক প্রাচীন একটি পন্থা এটি। আগেকার দিনে পানি মাটির কলসিতে রেখে, রাতে ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে ঘরের বাইরে রেখে দেওয়া হতো। সূর্য ওঠার আগে তা ভেতরে এনে যথাযথ স্থানে রেখে দেওয়ার চল ছিল। মাটির কলসি তো আর এখন অত ব্যবহার হয় না, সবই বোতল। তাই পানির সবগুলো বোতল ভেজা কাপড়ে মুড়ে রাতে বাইরে রেখে দিন। ভোরে ভেতরে নিয়ে এসে রাখুন। এতেও পানি ঠান্ডা থাকবে।
মাটির বড় কলসিতে রাখুন বোতলঃ বাজার থেকে একটি বড় মাটির কলসি কিনে আনুন। তা পানিতে ভিজিয়ে একদিন রাখুন। তারপর তাতে সামান্য পানি নিয়ে তারমধ্যে পানির বোতল রেখে ঢাকা দিয়ে দিন। বেশি ঠান্ডা রাখতে চাইলে ভেজা কাপড় মুড়ে দিন কলসির গায়ে। দেখবেন এই গরমেও ঠান্ডা থাকছে পানির বোতল।