অনলাইন ডেস্ক,সিটিজন নিউজ: জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। গত ৮ ও ৯ জুলাই এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জাতিসংঘ সদর দফতরের স্থায়ী মিশনে পৌঁছালে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন সেনাপ্রধানকে স্বাগত জানান। পরে তিনি সেনাপ্রধানকে বাংলাদেশ মিশনের কর্মপরিধি সম্পর্কে অবহিত এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন।
এরপর সেনাপ্রধান সেক্রেটারি জেনারেলের সামরিক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কর্লোস উমবার্তো লতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সামরিক উপদেষ্টা বিভিন্ন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব ও মানবিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এছাড়া তিনি বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের স্বতঃস্ফূর্ত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেনাপ্রধান বাংলাদেশ থেকে একজন ফোর্স কমান্ডার নিয়োগের ব্যাপারে প্রস্তাবনা দেন। সামরিক উপদেষ্টা শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে একজন ফোর্স কমান্ডার নিয়োগের ব্যাপারে আশ্বাস দেন।
সেনাপ্রধান বাংলাদেশ থেকে অতিরিক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, স্পেশাল ফোর্স এবং র্যাপিডলি ডেপ্লয়েবল ব্যাটালিয়ন মোতায়েনেরও প্রস্তাবনা দেন।
এ সময় সামরিক উপদেষ্টা সেনাপ্রধানকে জাতিসংঘ সদর দফতরে একজন কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে শান্তিরক্ষা মিশনের ফোর্স জেনারেশন প্রধান হিসেবে নিয়োগপত্র হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশের ৩১ বছর শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণে এই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদে বাংলাদেশকে নির্বাচন করা হলো। পাশাপাশি সামরিক উপদেষ্টা রোহিঙ্গা নাগরিকদের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশাংসা করেন।
এরপর সেনাপ্রধান অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ডিপার্টমেন্ট অব অপারেশনাল সাপোর্ট মিস লিসা এম বাটেনহেইমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তিনি জাতিসংঘ সদর দফতরের কাছে বাংলাদেশ সরকারের প্রাপ্ত ৬০ মিলিয়ন ডলার (আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকা) পরিশোধের অনুরোধ জানান।
সেনাপ্রধানের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল তৎক্ষণাৎ আড়াইশ কোটি টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার এবং অবশিষ্ট অর্থ স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিশোধের আশ্বাস দেন। পরে সেনাপ্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, পিস অপারেশনস মিস্টার জন পিয়েরে ল্যাক্রয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দ্বিতীয় বৃহত্তম সৈন্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সেনাপ্রধানের এ পরিদর্শন জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।