ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথমবার সুপার এইটে খেলেছে। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পেয়েছে। ওই হিসেবে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপেই সবচেয়ে সফল বাংলাদেশ। এই সফলতা এসেছে বোলিং বিভাগের হাত ধরে। ব্যাটাররা খুবই বাজে আসর পার করেছেন। পেসার তাসকিন আহমেদের মতে, ব্যাটিংয়ে এতো বাজে সময় গত ১০ বছরে দেখেননি তিনি।
বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে শুক্রবার দেশে পৌঁছান বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন তাসকিন আহমেদ। সেখানে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে ইতিবাচক দিক আছে, টুর্নামেন্টে বোলাররা ভালো করেছে। নেতিবাচক দিকও আছে। তবে নেতিবাচকই বেশি।
ব্যাটিং ব্যর্থতার সাম্প্রতিক এই সময়ে বাংলাদেশকে স্বস্তির উপলক্ষ্য এনে দিয়েছেন বোলাররা। তাই স্বাভাবিকভাবেই বোলিং ইউনিট নিয়ে প্রশংসা করতে ভুললেন না তাসকিন, ‘বোলিং ইউনিট আগাগোড়াই কয়েক বছর ধরে ভালো করছে। সে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে তারা। সামনে আরও ভালো হবে। ভালোর তো শেষ নেই।
ব্যাটাররা রান না পাওয়ায় যে এবারের অভিযান কঠিন ছিল টাইগারদের, তবে সতীর্থদের কাঁধে হাত রেখেই কথা বললেন ডানহাতি এই পেসার, ‘আপনারা যদি পরিসংখ্যান দেখেন, অন্য দেশের বড় বড় ব্যাটসম্যানকেও সেখানে ধুঁকতে হয়েছে। সেখানে বোলারদের একটু বাড়তি সুবিধা ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর আমরা কিছুটা ভালো উইকেটে খেলেছি।’ তাসকিন আরও যোগ করেন, ‘কিন্তু আমি বাংলাদেশ দলের হয়ে ক্রিকেট খেলার সময়, লাস্ট ১০ বছর ধরে খেলছি, কখনোই এত লম্বা ব্যাডপ্যাঁচ দেখিনি। আশা করি এটা কাটিয়ে উঠবে (ব্যাটাররা)।
বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় থাকা রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে গর্বিত পুরো বাংলাদেশ। তাসকিনও এর ব্যতিক্রম নন, ‘তানজিম সাকিব ও রিশাদ লিডিং উইকেট টেকারদের মধ্যে ছিল, টপ ফাইভে। সব মিলিয়ে ভালো করেছে। এটা খুবই ইতিবাচক যে বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যতের তারকা উঠে আসছে। এর মধ্যে বিশ্বকে বোঝানো হয়েছে, আমাদের মধ্যে সামর্থ্য আছে।