নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন কক্সবাজার শহর রক্ষায় ঝাউবন করার ।আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঝাউবন তৈরির নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান দেশের বাইরে থাকায় তার পক্ষে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিন একনেক সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে সচিব নূরুল আমিন বলেন, ‘ঝাউবন থাকলে ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এজন্য কক্সবাজার শহরকে রক্ষার জন্য ঝাউবন লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
কক্সবাজারে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে নূরুল আমিন বলেন, ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, তাদের শহরের মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে আগে। তারপর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্পের কাজগুলো উন্নতমানের হতে হবে। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জেলা প্রশাসক কক্সবাজারও একটি মাস্টারপ্ল্যান করবে। যেন যত্রতত্র বিল্ডিং না ওঠে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কিছু নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। বিদেশিরাও বিনিয়োগ করছে এখানে। এর উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলারও ব্যবস্থা রাখতে হবে। বিনোদন ও শপিংমলের ব্যবস্থাও করতে হবে।’
সচিব জানান, ঢাকার রাস্তাঘাটের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো, কাজগুলোর মান যেন ভালো হয়।
আজকের একনেক সভায় প্রায় ৫ হাজার ১৪২ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ৪ হাজার ১২৯ কোটি ৮১ লাখ এবং বিদেশি ঋণ প্রায় ১ হাজার ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
একনেক সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী ড. নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও কর্মকর্তারা।