সিটিজেন প্রতিবেদক: গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাকের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ নিহতের ঘটনা এবং এর বিপরীতে জাতিসংঘ, ইউনিসেফ এবং আরব দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ফিলিস্তিনের নারী-শিশুসহ মুসলিমদের ওপর এমন বর্বরতার পরও যারা নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, তারা ইসরাইলের এই হত্যাযজ্ঞকে সমর্থন করছে বলে আমরা মনে করি।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় গেটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিছিল শুরু করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে, প্যালেস্টাইন প্যালেস্টাইন’, ‘ইসরায়েলের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন—ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ও ইউনিসেফ বারবার শুধু বিবৃতি দিচ্ছে। বাস্তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না, যা প্রকারান্তরে হত্যাযজ্ঞকে সমর্থনের শামিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদনান হাসান বলেন, গাজায় প্রতিদিন শিশুরা মরছে, অথচ ইউনিসেফ শুধু সংখ্যা গুনছে। জাতিসংঘও মুখে উদ্বেগ জানিয়ে চুপ করে বসে আছে। এ নীরবতা আসলে হত্যার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার মতোই।
আরব দেশগুলোর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থী ফারজানা রুমি বলেন, আরব রাষ্ট্রগুলো মুখে ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকলেও কাজে নেই। কেউ এগিয়ে আসছে না। তাদের এই নীরবতাই ইসরায়েলের উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
শিক্ষার্থী হাসিব মাহমুদ বলেন, তারা শুধু তেল বেচে বিলাসিতা করছে। মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এখন শুধু কাগজে-কলমে। বাস্তবে কেউ ফিলিস্তিনের পাশে নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হান কবির বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর এমন বর্বরতার পরও আমরা আর নীরব থাকতে পারি না। এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিটি বিবেকবান মানুষের উচিত প্রতিবাদে শামিল হওয়া। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই।
শিক্ষার্থী হাসিব মাহমুদ বলেন, তারা শুধু তেল বেচে বিলাসিতা করছে। মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এখন শুধু কাগজে-কলমে। বাস্তবে কেউ ফিলিস্তিনের পাশে নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হান কবির বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর এমন বর্বরতার পরও আমরা আর নীরব থাকতে পারি না। এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিটি বিবেকবান মানুষের উচিত প্রতিবাদে শামিল হওয়া।
তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলো কাপুরুষতার পরিচয় দিচ্ছে, যার জন্যই সুযোগ পাচ্ছে ইসরাইল। অনতিবিলম্বে মুসলিম দেশগুলোকে এক কাতারে এসে এই গণহত্যার প্রতিবাদ জানাতে হবে। গাজায় যা হচ্ছে তা সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধাপরাধ।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমেরিকার মতো যেসব দেশ এমন গণহত্যা দেখে নিশ্চুপ, তাদেরও বয়কট করতে হবে। পাশাপাশি অনতিবিলম্বে মুসলিম দেশগুলোকে এক কাতারে এসে এই গণহত্যার প্রতিবাদ করতে হবে।
এ সময় বাংলাদেশ সরকারকে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।