জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে আজ (২৫ জুলাই) যুক্ত হলো বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত সম্পূর্ণ নতুন তৃতীয় বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘গাঙচিল’।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকাল ৫ টা ০৪ মিনিটে এই উড়োজাহাজটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। রানওয়ে থেকে এটি ট্যাক্সিওয়েতে এসে পৌঁছালে ড্রিমলাইনারটিকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফারহাত হাসান জামিলসহ রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সিভিল এভিয়েশনের পদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৃতীয় ড্রিমলাইনারটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
এ উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৫টি। বিমানটি দেশে আনতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি প্রতিনিধি দল সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির এভারেট ডেলিভারি ও অপারেশন্স সেন্টারে কয়েক দিন আগেই চলে গিয়েছিলেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনার চুক্তি করে। এগুলোর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ইতিমধ্যে বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে। সর্বশেষ ড্রিমলাইনারটি আগামী সেপ্টেম্বর মাসে দেশে আসতে পারে। বিমানের চারটি ড্রিমলাইনারের নাম বাছাই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে আকাশবীণা, হংসবলাকা ২০১৮ সালে বাংলাদেশে এসেছে। চতুর্থ ড্রিমলাইনারের নাম রাজহংস।
বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানান, অন্য দুটি ড্রিমলাইনারের মতো গাঙচিলের আসনসংখ্যা ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আর ইকোনমি ক্লাসে ২৪৭টি। বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন। এ ছাড়া বিমানটিতে যাত্রীরা ইন্টারনেট ব্যবহার ও ফোন কল করার সুবিধাও পাবেন।