হাফসা (উত্তরা)
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তরা বিমানবন্দর মহাসড়ক। এ সময় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্র-জনতা। ফ্যাসিস আওয়ামী লীগ
নিষিদ্ধকরণ, ‘জুলাই বিপ্লব’ ঘোষণাপত্র প্রকাশ ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের পালাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতার প্রতিবাদে বিমানবন্দর মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন উত্তরার “জুলাই ব্রিগেড”র নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় ছাত্র- জনতা।
এতে বিকাল থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তরা বিমানবন্দর মহাসড়ক।
আজ ৯ই মে ২০২৫, জুলাই ব্রিগেড এবং July Revolutionary Alliance (JRA) এর আহ্বানে উত্তরা ও আশেপাশের এলাকার সাধারণ ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে কয়েক ঘন্টা ধরে বিমানবন্দর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ সময় বিমানবন্দর মহাসড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। সরেজমিনে দেখা যায়,
আন্দোলনকারীরা বিএনএস সেন্টার থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হাউজ বিল্ডিং হয়ে উত্তরা পূর্ব থানার সামনে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে বসে পরেন। সেখানে তারা কয়েক গ্রুপে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাত তালে দিতে দিতে 1-2-3-4 আওয়ামী লীগ no More স্লোগান ও বিক্ষোভ মিছিলে মিছিলে বিমান বন্দর মহাসড়ক মুখরিত করে তুলেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলন কারীরা
প্রথমে সড়কের একপাশ বন্ধ করলেও পরবর্তীতে তারা সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল ও সব শেষে বিআরটি লেন বন্ধ করে দেয়। ফলে টঙ্গী থেকে ঢাকার প্রবেশ পথ বিমানবন্দর মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে পুরো এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
এতে চরম জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
আজ ৯ মে ২০২৫ শুক্রবার সন্ধ্যা ০৬:০০ ঘটিকায় উত্তরা বিএনএস সেন্টার ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে অবস্থান কালে তারা বলেন,
দফা এক দাবি এক,
লীগ নট কাম ব্যাক।
দিয়েছিতো রক্ত,
আরো দিবো রক্ত।
এ সময়
জুলাই ব্রিগেডের অন্যতম সদস্য নুর মোহাম্মদ বলেন, যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো, আওয়ামী লীগকে কিভাবে নিষিদ্ধ করতে হয় তা আমাদের জানা আছে, অফিসিয়ালি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবী আমাদের। তিনি আরো বলেন, হয় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করবে, না হয় আমাদের লাশ পড়বে। নুর মোহাম্মদ বলেন, আমরা এতদিন ভাবছিলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করবে, কিন্তু এখন দেখছি সরকার আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে না। এখন যা করার আমাদেরই করতে হবে, আমরা রাজপথে আছি,রাজপথে থাকবো। যতদিন পর্যন্ত না অফিসিয়ালী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা না হয় আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
বিমানবন্দর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন সময়ে সড়কের বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান ও উত্তরা পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফার। তাদের নেতৃত্বে থাকা থানা পুলিশের সদস্যরা ছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থার অনান্য সদস্যরা ও উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন সময়ে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হলেও তীব্র গড়ম ও যানজটে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠে।
বিমানবন্দর মহাসড়ক অবরোধ
কর্মসূচির মূল দাবি ও উদ্দেশ্য গুলো হলো,
আওয়ামী লীগকে একটি ফ্যাসিবাদী ও রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন হিসেবে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ সরকারের কাছে উপস্থাপন ও জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে।
আওয়ামী সরকারের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লালিত ফ্যাসিবাদের দোসরদের পালিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে গণপ্রতিরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সন্ধ্যায় ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।এর মাধ্যমে তারা জনগণের ন্যায্য দাবির প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং দেশে একটি গণমুখী ও ন্যায়ভিত্তিক রাজনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তারা।