বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১:২০ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

প্রতিদিন ডাল খেলে যেসব উপকার পেতে পারেন

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫
  • ০ বার পঠিত

লাইফস্টাইল ডেস্ক: নিরামিষ কিংবা আমিষ—দুই ধরনের খাদ্যাভ্যাস অনুসারী মানুষই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডাল রাখেন। ভাতের সঙ্গে বা রুটি দিয়ে, ডাল প্রায় সব ঘরেই রান্না হয় নিত্য। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই খাদ্য উপাদানটি শুধুই রুচিকর নয়, বরং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী।

পুষ্টিগুণে ভরপুর এই খাদ্য উপাদানটি শুধুই রুচিকর নয়, বরং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। মসুর, মুগ, ছোলা কিংবা মটর- যেকোনও প্রকারের ডালেই থাকে প্রচুর প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, আয়রন ও নানা খনিজ উপাদান।

প্রতিদিনের ডাল খাওয়ার অভ্যাস আমাদের শরীরে একাধিক উপকারে আসে, বিশেষ করে যারা নিরামিষ খাদ্য গ্রহণ করেন, তাঁদের জন্য ডাল প্রোটিনের অন্যতম সেরা উৎস।

প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে সহায়ক: ডাল প্রাকৃতিকভাবে উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ। এটি খেলে পেশি মজবুত হয়, শরীরের কোষ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গঠন উন্নত হয়। যারা মাছ, মাংস কম খান বা একদমই খান না, তাঁদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে ডাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

হজম ক্ষমতা বাড়ায়: ডালের ফাইবার উপাদান হজমের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি অন্ত্রের গতি স্বাভাবিক রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিয়মিত ডাল খেলে খাবার সহজে হজম হয় ও পেট থাকে পরিষ্কার।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ডালে থাকা পটাসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ডাল খাওয়ার অভ্যাস খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে: ডালের ফাইবার ও প্রোটিন একসঙ্গে পেট ভরিয়ে দেয়, ফলে অকারণে খিদে পায় না। এটি অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণে বাধা দেয়, যার ফলে ওজন কমাতে সহায়ক। ডায়েট করার সময় ডাল খুবই কার্যকরী এক উপাদান।

রক্তাল্পতা প্রতিরোধে উপকারী: ডালে থাকে আয়রন ও ভিটামিন বি, যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়তা করে। এটি রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া) প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের জন্য ডাল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি ভ্রূণের সঠিক বিকাশে সাহায্য করে।

যদিও ডাল শরীরের জন্য উপকারী, তবে যাদের বিশেষ কোনও শারীরিক সমস্যা রয়েছে, যেমন গাউট বা কিডনির অসুখ, তাদের ক্ষেত্রে ডাল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com