অনলাইন ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে নেদারল্যান্ডসের দি হেগে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দূতাবাস মিলনায়তনে রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলালের নেতৃত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় দূতাবাসের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত কর্তৃক এ মহীয়সী নারীর জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করে তার ত্যাগ ও আদর্শসমূহ তুলে ধরা হয়।
সভায় দূতাবাস কর্মকর্তারা বঙ্গমাতাকে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে কেবল জাতির পিতার যোগ্য সহধর্মিণী হিসেবে নয় বরং একজন প্রজ্ঞাবান সহকর্মী হিসেবে বঙ্গমাতা কীভাবে সবসময় বঙ্গবন্ধুকে সকল পার্থিব সমস্যা থেকে মুক্ত রেখে স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুকে অখণ্ড মনোযোগ দিয়ে আত্মনিয়োগের সুযোগ করে দিয়েছিলেন তাও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অসীম ত্যাগের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর।
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাকে একই সত্তা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বঙ্গমাতা কেবল একজন সাধারণ বাঙালি নারীর মতো স্বামী-সংসার, আত্মীয়-স্বজন নিয়েই ব্যস্ত থাকেননি বরং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনেও তার ভূমিকা ছিল আবিস্মরণীয়।
তিনি বঙ্গমাতার ত্যাগ ও আদর্শকে সকল বাঙালি নারীর জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে অভিহিত করেন এবং এসকল আদর্শকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলায় সকলকে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।