অনলাইন ডেস্ক, সিটিজেন নিউজ: আজ (মঙ্গলবার) বিশ্ব মশা দিবস। ১৯৩০ সাল থেকে প্রতি বছরের ২০শে আগস্ট দিবসটি পালিত হয়ে হচ্ছে। গত কয়েক বছরে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগে মানুষের মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, প্রতিবছর প্রায় সাড়ে আট লাখ মানুষ মশাবাহিত রোগে মারা যায়। সে কারণে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই দিবস পালনে আনুষ্ঠানিকতা বাড়ছে।
১৮৯৭ সালের ২০ শে আগস্ট ম্যালেরিয়া রোগের কারণ আবিষ্কার করেন ব্রিটিশ চিকিৎসক রোনাল্ড রস। এই আবিষ্কারের জন্য তিনি পরে চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পান। তার সম্মানে যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন দিবসটি পালন শুরু করে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৫১ হাজার ৪৭৬ ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছে ৪০ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৫৮০ রোগী।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা সাত হাজার ৮৫৬। এর মধ্যে ঢাকার ৪১ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা চার হাজার ৪৩। অন্য বিভাগে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৮১৩। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৫১ হাজার ৪৭৬ ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছে ৪০ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৫৮০ রোগী।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা সাত হাজার ৮৫৬। এর মধ্যে ঢাকার ৪১ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা চার হাজার ৪৩। অন্য বিভাগে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৮১৩।
এদিকে আজ মঙ্গলবার বিশ্ব মশা দিবস পালনের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং মশা দিবস পালনের বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জেলা সিভিল সার্জন মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মশা দিবস উপলক্ষে দুপুর সাড়ে ১২টায় শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, সিভিল সার্জন অফিসের আওতাধীন সব উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আরবান ডিসপেনসারিতে দিনের বেলায় মশানিধন কার্যক্রম কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
মসজিদের ঈমাম, বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক, স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠকর্মীদের নিয়মিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধবিষয়ক স্বাস্থ্যবার্তা প্রচার চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।