ডেস্ক: সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত ৫৯ হাজার ৫৯২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে ৫৩ হাজার ৩৯৮ জন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন করে ১৫৯৭ জন ভর্তি হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ১৬২৬ জন। গত পাঁচ দিনের একদিনও আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দেড় হাজারের নিচে নামেনি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে থেকে দেয়া তথ্যে জানা যায়, এখন পর্যন্ত ৯৪ জন ডাক্তার ও ১৩০ জন নার্সসহ মোট ৩০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। তারমধ্যে ডাক্তার আছেন ২৫ জন, নার্স আছেন ২২ জন, অন্যান্য স্টাফ ১৫ জন সহ মোট ৬২ জন স্বাস্থ্যকর্মী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
জানা যায়, রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫৯৭ জন। এর মধ্যে শুধু রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৭৬১ জন এবং ঢাকার বাইরে হাসপাতালগুলোতে ৮৩৬ জন ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছয় জন ডাক্তার এবং ১২ জন নার্স রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসেব মতে, বর্তমানে রাজধানীসহ দেশের সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ছয় হাজার ১৪৭ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে রাজধানীর ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে তিন হাজার ৩৩২ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে দুই হাজার ৮১৫ রোগী ভর্তি রয়েছেন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ৮০টি সম্ভাব্য মৃত্যু পর্যালোচনা করে এই পর্যন্ত ৪৭ জনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
সরকারি তথ্য অনুসারে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৭ বলা হলেও বেসরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। বৃহস্পতিবারও ঢাকায় একজন এবং বরিশালে দুইজন ডেঙ্গু রোগী মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।