বিনোদন ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ:‘তেরি মেরি কাহানি’ গান রিলিজের পর দিন রানু মন্ডল বললেন, হিমেশ রেশমিয়ার ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হীর’ ছবির জন্য প্লেব্যাক করার সুযোগ পেয়েছেন। হিমেশ এতো বড় সুযোগ করে দিয়ে তার কণ্ঠের ওপর আস্থা দেখিয়েছেন। এ কারণে তিনি সম্মানিত।
রাতারাতি তারকা বনে যাওয়া রানাঘাট স্টেশনের পাগলি রানু মন্ডলের জীবনের অন্যতম দিন ছিল গত ১১ সেপ্টেম্বর। এদিন মুক্তি পেল বলিউডে তার প্লেব্যাক করা প্রথম গান ‘তেরি মেরি কাহানি’। সেই অনুষ্ঠানেই রানু জানালেন, একদিন মঞ্চে তিনি গান গাইবেনই।
রানু মন্ডলের প্রতিভা দেখে ভারতের সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক হিমেশ রেশমিয়া ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হীর’ ছবির জন্য তাকে দিয়ে দুটো গান রেকর্ড করিয়েছেন।
সাংবাদিকদের রানু মন্ডল বলেন, মানুষের ভালবাসা পেয়ে আহ্লাদিত। অফুরান ভালবাসা দিয়েছেন তারা এবং সে কারণেই গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। হিমেশজি এতো বড় সুযোগ করে দিয়েছেন, আমার কণ্ঠের ওপর আস্থা দেখিয়েছেন। আমি সম্মানিত।
তিনি আরও বলেন, যদি এই ভালবাসাটা না পেতাম, কোনো দিনও গান গাইতে পারতাম না। ঈশ্বরের আশীর্বাদ রয়েছে। গান গাইতে পারি, কখনও মনে হয়নি কিন্তু নিজের কণ্ঠের ওপর আস্থা ছিল। লতা মঙ্গেশকরের গায়কী আমায় উৎসাহিত করেছিল এবং ছোট থেকেই তার গান গাই। ভবিষ্যতেও গাইব।
রানু মন্ডল জানান, এতো সঙ্কটের ভেতরেও কখনও গান শোনা বন্ধ করেননি তিনি। মোহাম্মদ রফি, মুকেশ, কিশোর কুমার, লতা মঙ্গেশকর, কুমার শানু এবং সনু নিগমের গান শুনতেন তিনি। তাদের প্রত্যেকটা ক্যাসেট ছিল ও সেখান থেকেই গান শিখেছেন তিনি।
গত ২০ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া ‘এক প্যায়ার কা নগমা হ্যায়’ গানটি গেয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান রানু মন্ডল। একমাসে গানটির ভিউয়ারের সংখ্যা প্রায় কোটি ছুঁয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ তো বটেই বিভিন্ন গুণী শিল্পীরা তার গায়িকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।